বাংলাদেশ ক্রিকেটের নায়ক সাকিবকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। বুধবার তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেন, ‘বিশ্বের অন্যতম ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এক বছর খেলতে পারবে না, ভাবতেই যেন কেমন লাগছে। তবে মানসিকভাবে শক্তিশালী সাকিব প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করে মাঠে ফিরবেন, এটাই আশাবাদ।’
বেশ কয়েক বছর আগে এক ঈদের অনুষ্ঠানে দুই ভুবনের দুই তারকার দেখা হয়েছিল। আনন্দঘন ওই মুহূর্তের ছবি শেয়ার দিয়ে শাকিব আরও লিখেন, ‘সাকিবের মত বিশ্বমানের একজন খেলোয়াড় খেলা থেকে দূরে থাকবেন, এটা নিঃসন্দেহে ভীষণ কষ্টের। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম আশার আলো সাকিবের এই কষ্টের সময়ে আমাদের উচিত আরও বেশি ভালোবাসা দেখানো। সবার ভালোবাসায় বিশ্বক্রিকেটের বিস্ময় সাকিব ফিরবেন স্বমহিমায়। সাকিব আল হাসান আমার কাছে এক গর্বের নাম। সে যেমন ভালো খেলোয়াড়, তেমনি পরিশ্রমী— ক্রিকেটে তার অর্জনে প্রতিনিয়ত আমরা গর্বিত।’
বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারছেন না চিত্রনায়িকা মৌসুমীও। তিনি বলেছেন, একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যতটা সহজ বা সম্ভব, একজন সাকিব আল হাসানকে তৈরি করা সম্ভব না। হাজার হাজার বছর অপেক্ষা করলেও একজন সাকিব আল হাসান তৈরি করা সম্ভব না।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় মৌসুমী এসব কথা বলেন। ভিডিওবার্তায় মৌসুমী আরও বলেন, সাকিব আল হাসান আমাদের অহংকার, আমাদের দেশরত্ন, আমাদের দেশের অহংকার, আমাদের দেশের সম্পদ। সেই সাকিব আল হাসান আমাদের ভালোবাসা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি একজন ভক্ত হিসেবে সাকিব আল হাসানের এই কষ্টটা মেনে নিতে পারছি না বলেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাকিব আল হাসান, ফিরে আস আমাদের মাঝে। সাকিব, কেউ না থাকুক আমি তোমার সঙ্গে আছি। আমি চাই তোমাকে নিয়ে আমাদের দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা সাকিবের পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তুমি আমাদেরকে অনেক আনন্দের মুহুর্ত উপহার দিয়েছ, গোটা দেশকে এক করেছ, একই আনন্দে। আজকেও তুমি পুরো দেশকে এক করেছ, একই বেদনায়। আমরা তোমার সঙ্গেই আছি, সাকিব আল হাসান।’
প্রসঙ্গত, জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করার অপরাধে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি ২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে মঙ্গলবার দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
তবে সাকিব দোষ স্বীকার করে নেয়ায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ, সাকিবের মূল নিষেধাজ্ঞা এক বছর। নিষেধাজ্ঞার সময় শাস্তির সব বিধিবিধান মেনে চললে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন এই দেশসেরা ক্রিকেটার।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা তিনবার লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এই শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
আইসিসির দুর্নীতি ইউনিটের কাছে জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য না জানানোর অপরাধ ও শাস্তি মেনে নেয়ায় আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের।
ফলে আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি ২০ বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না তার। প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময় নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন।
সূত্র: যুগান্তর