জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ দল যেন চোট-আঘাতের হাটে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে পেসারদের চোট নিয়ে বিপাকে পড়েছে দল। শরীফুলের পর চোটে আক্রান্ত মোস্তাফিজুর রহমানও।
ফলে খেলোয়াড় সংকট দেখা দিয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাকি দুই ওয়ানডেতে। যে কারণে হুট করেই জিম্বাবুয়ে সফরে ডাক পড়েছে পেসার এবাদত হোসেনের।
শনিবার জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে এক্ষুণি ব্যাগ গোছাতে হবে জেনে অবাক হয়ে যান এবাদত।
ঢাকা ছাড়ার আগে এবাদত বলছিলেন, ‘প্রথমে অবাক তো হয়েছিলাম। পরে খুব খুশি লাগল। কারণ সফরের আগে যাওয়ার কথা ছিল। সেটি হয়নি, এখন যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ্ দেশের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। ’
হঠাৎ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি আছি কিনা প্রশ্নে এবাদত বলেন, ‘আমি অনুশীলনের মধ্যেই আছি। অনুশীলনের মধ্যে না থাকলে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকতাম। তাই আত্মবিশ্বাস ভালো আছে।
তবে সাদা বলের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন বলে জানালেন এবাদত। বললেন, ‘বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে এইচপির বিপক্ষে খেলার জন্য খুলনায় ছিলাম। ওখানে সাদা বলের জন্য গিয়েছিলাম।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলতে নেমে চোট পান বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। ওপেনার লিটন কুমার দাস হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে সফর থেকে ছিটকে গেছে। মুশফিকুর রহিমের হাতের চোট ততটা গুরুতর নয়। তবে বাঁহাতি স্পিনার শরীফুল ইসলামের খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এ জন্য ঝুঁকি না নিয়ে বাকি দুই ম্যাচের জন্য দেশ থেকে ওপেনার নাঈম শেখ আর পেসার এবাদত হোসেনকে উড়িয়ে জিম্বাবুয়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শনিবার সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে দেশ ছাড়েন তারা।