মোবাইল ডিভাইস দৈনন্দিন জীবনে একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আজকাল মোবাইল আমাদের জীবনের এতটাই দখল করে নিয়েছে যে খাওয়া-দাওয়া, ওঠা-বসা সব সময়ই আমাদের মনোযোগ ফোনের দিকে থাকে। এমনকি শিশুদের মধ্যেও এই অভ্যাস দেখা যায়।
ফোনের অত্যধিক ব্যবহার শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক অস্থিরতার কারণে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস রোগ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে ফোনে খাওয়ার সময় স্মার্টফোনের একাধিক ব্যবহার মাথায় ব্যথা, চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহারে কিছু ক্ষতি হতে পারে:
অতিরিক্ত খাওয়া ও স্থূলতার কারণ
ভেজা খাবার খেতে এমনিতেই একটু সময় লাগে। এর মধ্যে মোবাইল হাতে নিয়ে খেলে মনোযোগ বিভ্রান্ত করে একটা দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে আপনি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখতে পারেন না।। অতিরিক্ত খাওয়া শেষ পর্যন্ত স্থূলতার দিকে পরিচালিত করবে। যা শারীরিক অবস্থার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
মোবাইল হাতে খাবার খেলে মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত হয়। যার ফলে শরীরে ভুল সংকেত পাঠায় এবং স্বাদ বা তৃপ্তিতে খাবার খাওয়ার উপলব্ধি ব্যহত করতে পারে। যা এটি একটি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে পরিণত করে।
মানসিক অসন্তুষ্টি
যখন আপনার মনকে একবারে দুটি বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হয়, তখন সে দুটির কোনোটিই সঠিকভাবে উপভোগ করতে পারে না। এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে এবং খাওয়া-দাওয়ার প্রতিটি অবস্থায় ফোনের ব্যবহার বন্ধের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমতে পারে।
সামাজিক সংযোগ ব্যহত
খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করা আপনার আশেপাশের সামাজিক বন্ধন এবং পরিবেশের সাথে খাপ-খাওয়াতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমনকি পরিবার থেকেও দূরে ঠেলে দিতে পারে।
এই কারণে, খাওয়ার সময়ে মোবাইল ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। মোবাইল ব্যবহার কমাতে প্রতিদিন নির্ধারিত সময় এর ব্যবহার করা এবং এ অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করতে মানুষের সাথে মেশা, কথা বলা সহজ উপায়।
সূত্র: ইত্তেফাক