খাবারের সন্ধানে শহরের লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি হুনুমান।
চুয়াডাঙ্গা শহরের মাস্টারপাড়ার কারো বাড়ির ছাদে, কারো গাছে
এমনকি কারো বাড়ির উঠোনে বসে থাকতে দেখা গেছে
হুনুমানটিকে।
গতকাল শুক্রবার সকালে হুনুমানটিকে শহরের মাস্টারপাড়ায় ঘুরতে দেখা
যায়। এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে লাফিয়ে লাফিয়ে হুনুমানটি একটি
কাঠালগাছে এসে বসে থাকে। তারপর গাছ থেকে নেমে বাড়ির উঠোনে
কিছুক্ষণ বসে আবার পাশের একটি আতাগাছে উঠে বসে থাকে।
কিছুক্ষণ পর হুনুমানটি পাশের একটি বাড়ির ছাদের ওপর থেকে অন্য
দিকে চলে যায়।
মাস্টারপাড়ার গৃহিনী লাইলা নাজনীন জানান, মনে হচ্ছে খাবারের জন্য
ঘুরে বেড়াচ্ছে হুনুমানটি। এরকম আরো কয়েকটি হুনুমান মাঝেমধ্যে
ঘুরতে আসে। কেউ কেউ পাউরুটি, কলা খেতে দিলে খেয়ে চলে যায়।
হুনুমানরা কারো ক্ষতি করে না। বাড়ির উঠোনে হুনুমানটি এসেছিল।
করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে হোটেল ও দোকানপাট বন্ধ থাকায়
বোধহয় এই এলাকায় চলে এসেছে। ভয়ে খাবার দেওয়াও গেল না। তার
আগেই চলে গেছে।
অনেকে বলেন, খাবারের সন্ধানে এভাবে প্রায়ই হুনুমান চলে আসে
লোকালয়ে। ঝুকি নিয়ে তারা মানুষের বাড়ির ছাদে, গাছের ডালে ঘুরে
বেড়ায়। হুনুমানরা কারো ওপর আক্রমণ করে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: গোলাম মোস্তফা বলেন,
চুয়াডাঙ্গাতে সাধারণত হুনুমান দেখা যায় না। মূলত খাবারের সন্ধানে
তারা মঝে মধ্যে আসে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলার দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য জেলা পুলিশের
পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে।
গত ২৯ মার্চ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। তা
এখনো অব্যাহত আছে। খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটে থাকছে চাল, ডাল,
আলু, তেলসহ অতি প্রয়োজনীয় আরো কিছু খাদ্যদ্রব্য। প্রতিদিন
কমপক্ষে ১০০ থেকে ২৫০ পরিবারকে এ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
হতদরিদ্ররা পুলিশের একটি তথ্যফরম পূরণ করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে
জমা দিলে রাতে পৌছে যাচ্ছে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট। চুয়াডাঙ্গা
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম খাদ্যসামগ্রী বিতরণে নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গার হাট-বাজারে মানুষের ভীড় বন্ধ হয়নি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাবাসিকে ঘরে থাকার
অনুরোধ জানানো হলেও তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না।
হাট-বাজার গুলোতে মানুষের ভীড় থাকছে। মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য
কেনার অজুহাতে ঘরের বাইরে আসছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কাচাবাজার ও মাছ মাংস
কেনার বাজার গুলোতে মানুষের ভীড় দেখা গেছে। গ্রাম এলাকা গুলোতে
বিকেলের দিকে মানুষ বাইরে আসছে বেশি। মানুষকে ঘরে ফেরানোর
জন্য পুলিশকে রীতিমত অভিযান চালাতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসনও প্রতিদিনই সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বাইরে আসায়
অনেককে জরিমানা করছে। মানুষের চলাচল কমানোর জন্য শহরের বিভিন্ন
পাড়ায় পাড়ায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় বাঁশ বেঁধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা
হয়েছে।
অনেক গ্রামে ঢুকতে হলে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে গ্রামে
ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
রাতে বাইরে বেরুনো নিষেধাজ্ঞা
সেই রাতেই চোর এসেছিল বাইরে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে আসা নিষেধ।
নিষেধাজ্ঞা জারির রাতেই বাইরে আসে চোর। চুরি করে সদর উপজেলার
দোস্ত বাজারের একটি মুদি দোকানে। দোকানের টিনের ছাউনি কেটে
চোরেরা নগদ ১৪ হাজার টাকাসহ অর্ধলক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে
নিয়ে যায়।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে দেখা
যায়, দোকানের ছাউনির টিন কেটে চোরেরা নগদ টাকা, সিগারেট ও
অন্যন্য মালামাল নিয়ে যায়। সকালে চুরির ঘটনা জানাজানি হয়।
এলাকাবাসীর মতে, একজনের পক্ষে এ চুরি করা সম্ভব নয়। ধারণা করা
হচ্ছে কয়েকজন এসে চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার হিজলগাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই
কিশোর কুমার দত্ত জানান, রাতে চুরির ঘটনা শুনেছেন। তবে, কারা এ
ঘটনার সাথে জড়িত তা জানা যায়নি।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে মানুষ বাইরে আসা বন্ধ করার ব্যাপারে
পুলিশি পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে।