রোজাদারদের ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুর। তাই রমজানে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। ক্রেতাদের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রি করে ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর।
তবে ইফতারের খেজুর না খেলেই নয়। তাই বাজার থেকে খেজুর কেনার সময় অবশ্যই দেখে কিনতে হবে। কারণ পচা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর খেলে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।
বাজারে অনেক ধরনের খেজুর আছে। বেশিরভাগ ক্রেতারা রমজানের এ সময় খেজুর কেনেন। নিয়মিত খেজুর না কেনায় আসল পণ্য চিনতে চেনা যায় না। ফলে কিছু দোকানি নিম্নমানের খেজুরকে ভালোমানের বলে বিক্রি করেন। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের খেজুর তো বাজারে রয়েছেই।
বাজারে অনেক ধরনের খেজুর রয়েছে। ভালো খেজুর চেনার কিছু উপায় রয়েছে। প্যাক করা খেজুর কেনা সবচেয়ে ভালো। এই খেজুরগুলোর প্যাকেটে সাধারণত মেয়াদ লেখা থাকে। এছাড়া খোলা খেজুর কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে খেজুরে যেন পচা গন্ধ, পোকা ধরা, বেশি কালছে, বেশি শুকিয়ে যাওয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে খেজুর ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আমাদের ফ্রিজের নরমালে রাখা। ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রা খেজুর ভালো রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছি, পিঁপড়া বা পোকা থাকা খেজুর কেনা যাবে না। এগুলো থাকলে বুঝতে হবে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো হয়েছে অথবা খেজুরটি মেয়াদোত্তীর্ণ। ভালো খেজুরের চামড়া হয় কোঁচকানো। কোঁচকানো চামড়া দেখে খেজুর কিনতে হবে। ভালো খেজুরের চামড়া খুব বেশি মসৃণ ও টানটান হবে না। খেজুর খুব বেশি মিষ্টি হলে বুঝতে হবে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো হয়েছে।
খেজুর যত পুরোনো হবে, ভেতরটা তত বেশি লালচে হবে। ভেতরটা সাদা হলে বুঝতে হবে খেজুরটা ভালো। খেজুরের গা তেলতেলে হলে বা পাউডার জাতীয় কিছু থাকলে ধরে নিতে হবে কিছু মেশানো হয়েছে। সেগুলো না কেনাই ভালো।
খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর হচ্ছে শক্তির অন্যতম একটি ভালো উৎস।
সূত্র: ইত্তেফাক