গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের আলোচনার জন্য ডেকেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। রোববার এ আলোচনা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও কোভিড-১৯ র্যা পিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
তিনি বলেন, আলোচনার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। তারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল দিয়েছেন। অ্যান্টিবডি কিট ফল প্রকাশপরবর্তী বৈঠকের জন্য আমাদের ডাকা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্যকে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে ডাকার বিষয়টি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুও জানিয়েছেন। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডা. জাফরুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিন্টু বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক রোববার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আপডেটেড অ্যান্টিবডি কিটের তথ্য-উপাত্ত জানতে কর্মকর্তাদের ডেকেছেন। আজ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর যদি কিটের অনুমতি দেয় তা হলে গণস্বাস্থ্য ১৫ দিনের মধ্যে ৫০০০ অ্যান্টিবডি কিট তৈরি করবে। গণস্বাস্থ্যের গবেষকরা এরই মধ্যে ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য অ্যান্টিবডি কিট আপডেট করেছে বলেও জানান মিন্টু।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহর চৌধুরী কিটের বিষয়ে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবে এবং অনুমতি দেবে বলে আশাবাদী বলে জানান মিন্টু।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কিট উন্নয়ন দলের প্রধান বিজ্ঞানী বিজন কুমার শিলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, তারা কিটের সংবেদনশীলতা আরও বৃদ্ধি করেছে। এখন এটি অ্যান্টিবডিটিকে আরও দক্ষতার সঙ্গে শনাক্ত করতে পারে। বিজন শীল আরও বলেছিলেন যে, ডিজিডিএ ৯০ শতাংশ সংবেদনশীলতা এবং ৯৫ শতাংশের সুনির্দিষ্টতা নির্ধারণ করেছে যে, অনুমোদনের জন্য জিকে কিটটি অবশ্যই অর্জন করবে।
সূত্র- যুগান্তর