চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযাগ পাওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইডি এ কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকই কি ‘অপরিকল্পিত নির্মাণ’ দায় নিতে চাচ্ছেনা উপজেলা প্রকৌশলী।
চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সরকারী ও বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে চলমান রয়েছে এবং শেষ হয়েও গেছে। চাহিদা ভিত্তিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যম ১৭ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার ৪টি উপজেলায় ৩৬টি প্যাকেজের মধ্যে ৩১টি কাজ শেষ হয়েছে,চলমান রয়েছে আরও ৫টি। চাহিদা ভিত্তিক বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যম ১৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ১৪০ টাকা ব্যয়ে ৪টি উপজেলায় ২৩টি প্যাকজের মধ্য ২২টি কাজ শেষ হয়েছে,চলমান রয়েছে ১টি। প্রাথমিক ভবন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৩২টি প্যাকজের মধ্যে ৬৭টি কাজ শেষ হয়েছে,চলমান রয়েছে আরা ৬৫টি কাজ।
প্রাথমিক ভবন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহরের কেদারগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে চলমান নির্মাণ কাজ অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে বলে অভিযাগ পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ফটকের যাতায়াতের মাঝখানে জনস্বাস্থ্য প্রকশৌলী অধিদপ্তরের একটি গভীর নলকুপ (তারা ডেভ হেড) রয়েছে। ওই নলকুপটি না সরিয়েই চলছে নির্মাণ কাজ। নলকুপটি না সরিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে, কাজ দেখভাল নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসনকে সরকারী কাজে এমন অবহেলার জন্য দায়ী
করেছে নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনকে। এ কাজের প্রাক্কলন করার সময় ফটকের মাঝখানে নলকুপটি বসানো থাকলেও তা কিভাবে নজর এড়ালো তা প্রশবিদ্ধ ? স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ কাজটি বিদ্যালয়ের পাশে কেদারগঞ্জপাড়ার ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা করছে। কারনে চোখের সামনে অপরিকল্পিতভাবে কাজটি করলেও তা বলা যাচ্ছেনা। ওই বাসিন্দারা আরও বলেন, প্রকাশ্য শহরের মধ্যে যদি এলজিইডি এ ধরনের কাজ করাতে থাকে, তাহলর যেখানে দেখার কেউ নেই সেখানে এ দপ্তরের প্রকৌশলীরা কাজগুলাে কিভাবে বাস্তবায়ন করে ?
নির্মাণাধীন ফটকের মাঝখানে গভীর নলকুপ বসানো থাকা অবস্থায় কিভাবে কাজ চলছে,এমন প্রশ্নের জবাবর ওই বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার বলেন,এ নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও আমাকে কিছুই জানানাে হয়নি। কাজ কিভাবে চলছে তা আমাদের জানা নেই।
এ বিষয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের দেখিয়ে দেওয়া স্থানই এলজিইডি কাজের বাস্তবায়ন করে। সে কারনে এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। তারা যেখান কাজটি করতে বলেছে সেখানই ফটক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শেখ ফরিদ বলেন, গভীর নলকুপ রেখই ফটক নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলেও বিদ্যালয় বা এলজিইডির তরফ থেক নলকুপটি সরিয়ে নেয়ার জন্য কোন আবদেন করা হয়নি। আবেদন করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি জানা ছিলোনা। এটা সমাধানর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।