প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা করতে হলে আমরা প্রথমেই ঠাণ্ডা পানীয় নাহয় ঠাণ্ডা খাবার খুঁজি। কিন্তু প্রবাদে আছে, কাটায় কাটা তোলা। গরম খাবার দিয়ে গরম কাটানোর এই পন্থা অনেক দেশের মানুষই অনুসরণ করে। বিশেষত ঠাণ্ডা পানীয় কখনই আমাদের শরীরের গরম কাটায় না। বরং ঠাণ্ডা পানীয় অনেক সময় আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। একথা সত্য, ঠাণ্ডা পানীয় পান করলে অনেক সময় কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হিসেবে তা মেনে চলা যাবে না।
একাধিক নির্ভরযোগ্য গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, গরম খাবার আমাদের শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার তুলনায় বেশি তাপমাত্রার খাবার খেলে শরীর তাপ ছেড়ে দেয়।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো, তাপ উচ্চমাত্রার অংশ থেকে নিম্নমাত্রার অংশে প্রবাহিত হয়। এজন্য গরম খাবার খেলে ঘাম হয় অনেক। ওই ঘাম শুকিয়ে গেলে শরীর ঠাণ্ডা অনুভূতি সঞ্চার করে। অবশ্য এক্ষেত্রে আর্দ্রতার হিসেবটিও মাথায় রাখা জরুরি।
পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ বহু আগে থেকেই এই পন্থা অনুসরণ করে আসছে। তারা সময়-অসময়ে চা আর সয়াদুধ পান করে। কোরিয়ানরাও তীব্র গরমে প্রচুর ঝাল দেওয়া স্যুপ পান করেন। আমাদের দেশেও সম্প্রতি এমন একটি অভ্যাস চালু হয়েছে। তবে গরমে অতিরিক্ত চা আর কফি খেয়ে এই পদ্ধতির প্রয়োগ না করাই ভালো। পানিশূণ্যতা তৈরি করে এমন খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে নিন। উপকার পাবেন।
সূত্র: ইত্তেফাক