মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এই ব্রত নিয়ে মানব কল্যাণে এগিয়ে চলেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। গরীব দুখি মানুষের পরম বন্ধু হিসেবে ইতোমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল মাামুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামদেবপুর গ্রামের মৃত রেজাউল হক ও মোছাম্মৎ ছাদেকা বেগমের ছেলে ।
ছোটবেলা থেকেই নেশা ছিল গরীব দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়াবার। মানুষের সাথে মিশে মানুষের আদর্শে মানুষ হবার। সেভাবেই তিনি সেবার মন মানসিকতা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। পিতা রেজাউল হক আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন দীর্ঘদিন। সে সুবাদে এলাকার অনেক আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া। ছোট বেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আঁকড়ে ধরে তিনি ছাত্র জিবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। শিক্ষা জিবনে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাশ করেন এবং ১৯৯১ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুন এইসএসসি পাশ করেন। তিনি তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। বিগত দিনে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশন গাংনী উপজেলার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা বিআরডিবি’র সাবেক সভাপতি এবং তেতুলবাড়িয়া ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিভিন্ন সময়ে মানুষের বিভিন্ন দুর্দশা, বিরোধ নিষ্পত্তি করণ ছাড়াও অসহায় শিক্ষার্থী ও অসুস্থদের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী ও লকডাউনের সময় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এখনও এটি চলমান।
স্থানীয়রা জানান, মামুন ছোট বেলা থেকেই পরোপকারী। বিপদ আপদে মানুষের পাশে দাড়ানো তার অভ্যাস। বাবা মায়ের বাধ্যগত এই মামুন এখন গরীবের বন্ধু। বিপদ আপদে এলাকাবাসির একমাত্র ভরসা। অনেকেই জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনে মামুন চেয়ারম্যান পদে দলীয়ভাবে মনোনয়ন নেন। অনেক জনপ্রীয়তা থাকলেও তিনি প্রতিপক্ষ বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে পরাজিত হন। দলীয় কোন্দল ও একাধিক প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা তাদের সীদ্ধান্ত নিতে পারেন নি।
মামুন জানান, যেভাবে পেরেছি সে ভাবেই মানুষের নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। মানুষের বিপদে মানুষের পাশে দাড়ানো আর মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে ভালবাসা পাওয়া আমার নেশা। সে নেশায় সব সময় তাড়া করে ফেরে। রাতদিন যখনই মানুষের বিপদের কথা শুনেছি তখনি ছুটে গেছি অবহেলিত নির্যাতিত মানুষের কাছে। সর্বোচ্চ সাধ্যমত চেষ্টা করেছি নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে মানুষের উপকার করার। বাবা মায়ের আর্শিবাদ আর পরিবারের ভালোবাসা সাধারণ মানুষের দোয়া সেই সাথে রাজনৈতিক নেতাদের আশীর্বাদে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছি সুনামের সাথে।
মামুন আরো জানান, বিগত পাঁচটি বছর অতিবাহিত হলেও তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে উন্নয়নের ছিটে ফোটাও লাগেনি। সরকারি অর্থ তছরুপ করে নিজের আখের গুছিয়েছেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নির্বাচিত হলে তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নকে একটি সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়তে তুলতে চান। এরই মধ্যে জনগন প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করছেন। আমিও একজন বঙ্গবন্ধু’র সৈনিক হিসেবে হতাশ না হয়ে মানুষের সাথে আছি, থাকবো। আমার বিশ্বাস আমি নৌকার পক্ষে মনোনয়ন পেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষ আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হলে মুখ থুবড়ে পড়া ইউনিয়ন পরিষদকে ইউনিয়নবাসীর সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবো।