দেড় মাস যাবত পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন কলেজ ছাত্রী চাঁদনী। পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবা মায়ের ওপর অভিমান করে হারপিক পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়।
চাঁদনি গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে ও গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী।
জানা গেছে, চাঁদনী প্রতিবেশি এক যুবককে ভাল বাসতো। কিছুদিন পর ভালবাসার বিষয়টি পরিবারের লোকজন বুঝে ফেলে। একপর্যায়ে চাঁদনীকে পরিবার থেকে চাপাচাপি করলে জীবন বিসর্জন দিতে হারপিক পান করে। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চাঁদনীর অবস্থা অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় অবশেষে সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। চাঁদনীর মৃত্যুতে এলাকায় শোক নেমে আসে। চাঁদনীর এ মৃত্যুতে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, নিহত চাঁদনীর পরিবার থেকে আমাদের অবহিত করেছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই পুর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন-করোনাভাইরাস: দেশে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার তথ্যে গরমিল