মেহেরপুরের গাংনীতে আনসার ভিডিপি সদস্য মিল্টন হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী ঘর দেয়ার নামে দরিদ্র কৃষকের কাছ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভুগীর জামাই মোহন আলী। আনসার সদস্য কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে সে গাংনী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের গুদামে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
মোহন আলী জানান, তার শশুর ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা গ্রামের রজব আলীকে সরকারী ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় দেড় বছর আগে ১২ হাজার টাকা নিয়েছে। দীর্ঘ সময় পার হলেও ঘর দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলেও নানা টালবাহানা শুরু করেছে। এক প্রকার বাধ্য হয়ে গাংনী উপজেলা ও জেলা আনসার কর্মকর্তা সহ বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এদিকে সাহারবাটি ইউনিয়নের হিজলবাড়িয়া গ্রামের শাহজামালের স্ত্রী ভানুয়ারা খাতুন বলেন, আনসার সদস্য মিল্টন হোসেন সরকারী ঘর দেওয়ার নামে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও ঘর তো দুরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।
পুরাতন মটমুড়া গ্রামের নয়ন আলী বলেন, মাতৃত্বকালিত ভাতা করে দেওয়ার নামে ১০ জনের টাকা নিয়েছে মিল্টন হোসেন। মাতৃত্বকালিন ভাতা কার্ড করে দিতে পারেনি। এজন্য টাকা ফেরত দেবে বলে অঙ্গীকার করেছে।
গাংনী উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা উর্মিলা বিশ্বাস বলেন, মোহন আলী নামের এক ব্যক্তি আনসার ভিডিপি সদস্য মিল্টন হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য মিল্টন হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা আনসার কমাড্যান্ট মো: সাহাদত হোসেন বলেন,বিষয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।