মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফসলী জমিতে পুকুর কাটার (খনন) মহোৎসব চলছে। প্রতিদিনই নানা স্থানে প্রশাসনের দৃষ্টি আড়াল করে অবাধে ২ ও ৩ ফসলী জমিতে পুকুর কাটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাঠে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের প্রভাবশালী ফজলুর রহমান বিশ্বাস ক্ষমতাসীন দলের নেতা তার আবাদী ৩ বিঘা জমি ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম জমিতে এসকেবেটর মেশিন দিয়ে পুকুর কাটাচ্ছেন।
পাশেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খলিলুর রহমান, অবঃ সেনা সদস্য জামাল, নুরুন্নবী, শাহাবউদ্দীন, রমজান মাষ্টার, জুগিরগোফা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আলম হোসেন ও (ফায়ার সার্ভিস কর্মী) দেড় বিঘা জমিতে পুকুর খনন করেছেন। একই ভাবে জুগিরগোফা ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্বের মাঠে একাধিক আবাদী ধানী জমিতে বড় বড় পুকুর খনন করেছেন।
অন্যদিকে উপজেলার জোড়পুকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বের মাঠে ২-৩ ফসলী জমিতে পাশাপাশি ৫-৬ টি পুকুর খনন করা হয়েছে। এমনি করে ষোলটাকা, সহড়াবাড়ীয়া, রায়পুর গ্রামে আবাদী জমিতে দেদারসে পুকুর খনন চলছে। হাইকোর্টের সরকারী নিষেধাজ্ঞা বা প্রশাসনের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজনবোধ মনে করেনি।
এব্যাপারে নারী নেত্রী নুরজাহান বেগম দম্ভ করে বলেন, আমার জমিতে আমি পুকুর খনন করছি। এতে সাংবাদিকদের বা সরকারের কি! ২/১ দিন আগে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাহারবাটি ইউপি ভূমি সহকারী অফিসার সরেজমিনে নিষেধ করে আসলেও আবার পুকুর খনন শুরু হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, উপজেলার সকল ক্ষেত্রে জনগণকে সরকারী আইন সম্পর্কে অবহিত করা হলেও অনেকে এসব নিয়ম মানছেন না। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেন এক শ্রেণির মানুষ মহোৎসব মনে করে আবাদী বা ফসলী জমিতে পুকুর খনন করছে।
তবে পার্শ্ববর্তী ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা অভিযোগ দিলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।
মেপ্র/আরপি