মেহেরপুরের গাংনী পৌর সভায় চাকুরি পেতে প্রদানকৃত ১৫ লাখ টাকা ফেরতের দাবীতে আবারো আমরণ অনশনে বসেছেন মা ও মেয়ে । সোমবার বিকেল থেকে গাংনী উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার চত্বরে অনশনে বসেন তাঁরা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, তিন বছর আগে গাংনী পৌর এলকার শিশিরপাড়া গ্রামেরর শাহাবুদ্দিন ওরফে বাহাদুরের মেয়ে জনৈক মোমিনের স্ত্রী মৌমিতা খাতুর পলি পৌরসভায় হিসাব রক্ষণ সহকারি পদে চাকরি পেতে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামকে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
মেয়র একটি মামলায় জেল হাজতে থাকায় তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহানা ইসলাম শান্তনার ব্যাংক একাউন্টে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা করেন মৌমিতার স্বামী মোমিন। টাকা প্রদান করার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও মৌমিতার চাকরি স্থায়ী করণ করেনি মেয়র আশরাফুল ইসলাম। উপরন্ত মৌমিতার পদে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মেহেরপুরের একটি মেয়েকে চাকরি দেন।
পরে মৌমিতা টাকা ফেরত চাইলে আজকাল করে নানা অজু হাতে ঘুরাতে থাকে মেয়র। ব্যাংক জমাকৃত টাকার ব্যাংক রশিদ নিয়ে বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ান মৌমিতা ও তার পরিবার। অবশষে কুলকিনারা হারিয়ে গত ২৩ আগস্ট অনশনে বসেন মৌমিতা ও তার মা। দিন শেষে গাংনী থানার ওসি বিচারের প্রতিশ্রুত দিয়ে পরের দিন থানায় গাংনীর বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ ও গাংনী থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান স্থানীয় শালিশের ব্যবস্থা করেও তা অমীমাংসিত অবস্থায় শালিশ শেষ হয়।
এ সময় ঐদিন মেয়র আশরাফুল ইসলাম মৌমিতার স্বামীর মোমিনের হাতে টাকা ফেরত দোবার কথা বল্লেও মোমিন টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি কোনো টাকা পয়সা মেয়রের নিকট থেকে নিইনি এবং কোথাও স্বাক্ষর করিনি। মৌমিতা দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। টাকা না ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন করবেন বলে জানান মৌমিতা।
এদিকে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, মৌমিতা খাতুন পলির পিতা শিশিরপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন ওরফে বাহুদুর আমার অত্যন্ত আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি। তার বাড়ির সামনে হাফজুলের বাড়ির সামনে আমার ৪০ শতাংশ জমি আছে। আমার উক্ত জমির ৫ কাঠা বিক্রি করার জন্য দামাদামি করি। উক্ত ৫ কাঠা জমির মূল্য নির্ধারন করা হয় ১৫ লাখ টাকা। জমি বিক্রি করার জন্য মৌমিতা খাতুন পলির কথিত স্বামী মোমিন টাকা দিয়েছিলেন, চাকরির জন্য নয়।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, অনশনের বিষটি তিনি জনেছেন। তিনি বলেন আমরা স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও মেয়র সাহেবের সাথে বসেছিলাম। বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েগেছে। তবে এসব বিষয়ে আদালতের যাওয়া ছাড়া কোন উপাই দেখছিনা।