মেহেরপুরে গাংনীতে রানা (১৮) নামের এক আলগামন চালককে মারধর করে লক্ষাধীক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গাংনী থানায় ওই আলগামন চালকের পিতা শফিকুল ইসলাম একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সহড়াতলা গ্রাম থেকে কাজিপুরে যাওয়ার পথে আতাতলা মাঠের মধ্যে রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান আলগামন চালক রানা।
মামলার বাদী ও আলগামন চালকের পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সহড়াতলা গ্রামের সেন্টুর ছেলে বেল্টু (২৮), পল্টুর ছেলে মারুফ হোসেন (২২) এবং জাবেদ আলীর ছেলে পল্টু (৫০) পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে তারা মারধর করে জমি বিক্রি করা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। টাকা নিরাপত্তায় রাখার জন্য আমার ছেলে রানাকে দিয়ে কাজিপুরে মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনভাবে বিষয়টি জানতে পেরে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীর মতো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার ছেলেকে মারধর করে এবং জমি বিক্রি করা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
মারধরের স্বীকার আলগামন চালক রানা বলেন, জ্বালানি কাঠের ভাড়া নিয়ে আমি কাজিপুরে যাচ্ছিলাম। আমার পিতা আমাকে ডেকে বাড়ি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আমাকে দিয়ে বললেন বড় বোনের বাড়িতে নিরাপদে রেখে আসতে। যাওয়ার পথে আতাতলা মাঠের মধ্যে রাস্তায় উপরে দেখি রড, ধারালো হাঁসুয়া ও লোহার হাতুড়ি হাতে দাড়িয়ে আছে বেল্টু, পল্টু ও মারুফ। আমাকে যেতে দেখে বেল্টু লোহার হাতুড়ি হাতে এগিয়ে এসে আমাকে থামতে বলে। আমি থামতে অস্বীকৃতি জানালে মারুফ রড হাতে এগিয়ে এসে আমার পায়ে ও পিঠে আঘাত করে এবং সেসময় পল্টু আমার লুঙ্গির কুছায় থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে; আমি বাঁধা দিতে গেলে বেল্টু হাতুড়ি দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে এবং জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে ওখানে থাকা কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দিলে আমাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস শুকুর বলেন, আমি মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রানাকে আলগামনে কাঠ নিয়ে যেতে দেখি। পরে চিৎকার শুনে কিছুদূর এগিয়ে যেয়ে দেখি তাকে মাটিতে ফেলে মারধর করে চলে যাচ্ছে কয়েকজন। পরে শুনি তার কাছে থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
একই রকম কথা বলেন এ ঘটনার আরো দুজন প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম রহমান ও রেজাউল ইসলামও। তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।