মেহেরপুরের গাংনীতে এক ইউপি সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী জিকরিয়া সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার সন্ধ্যায় সরকারী ত্রানের স্লিপ না দেওয়ায় উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ফিরোজকে ডেকে নিয়ে মারধর করে তারা।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ফিরোজ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ধানখোলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান ফিরোজ জানান, করোনা দুর্যোগের কারণে সরকার ধানখোলা ইউনিয়নে গত কয়েকদিন আগে ১ হাজার কর্মহীন অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ করে। সেখান থেকে ১ নং ওয়ার্ডের জন্য ১৪৬ জনের বরাদ্দ থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক ৩০ জনের নামের তালিকা দেয় জিকরিয়া সহ তার সহযোগীরা। তাদের দেয়া নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সুবিধাভোগী কয়েকজনকে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে স্লিপ ও মৌখিক ভাবে চাল নেওয়ার জন্য বলা হলেও ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গাড়াডোব গ্রামের ইয়াদ খা’র ছেলে মতিয়ার রহমান মোবাইল ফোনে বাজারে পাশের্^ ডেকে নেয়।
এরপর ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আবুল কাশেমের ছেলে জিকরিয়ার নেতৃত্বে নুরুর ছেলে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, আমিনুল ইসলাম ত্রানের চাল আত্মসাৎ করার জন্য স্লিপ দাবি করে। ভুক্তভোগীদের স্লিপ দেয়া হয়েছে বলার পরপরই তারা মারধর করে কাছে থাকা অন্য ত্রানের স্লিপ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় উক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদানকারী অভিযুক্ত জিকরিয়া বলেন, স্লিপ দেয়া নেয়াকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ফিরোজের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারী প্রতিনিধি না হয়ে কিভাবে সরকারী ত্রানের স্লিপ দাবি করেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর না দিয়ে গড়িমশি করতে থাকেন এক পর্যায় যুবলীগ নেতা মতিয়ার রহমানের সাথে কথা বলতে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে যুবলীগ নেতা মতিয়ার রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে মোবাইল বাড়িতে রেখে বাইরে গেছে বলে জানানো হয়।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ফিরোজকে মারধর করা হয়েছে মর্মে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। ত্রানের চালের স্লিপ আত্মসাৎ এর ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।