মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে এর ওএমএস বিশেষ কার্যাক্রমের আওতায় প্রতিদিন সুবিধা পাচ্ছেন গাংনী পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অন্ততঃ ৯০০ পরিবার।
প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গাংনীতে ডিলারের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে ওএমএস সুবিধা। এতে প্রতি জনকে ৫কেজি চাউল ৩০ টাকা ও কেজি আটা, ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ওএমএস সুবিধা থাকায় চালের বাজার চড়া থাকলেও প্রতিদিন ভিড় জমছে ওএমএস সুবিধার লাইনে। তবে এ কার্যক্রম দির্ঘদিন চালু রাখার দাবী উপকারভোগীদের।
জানাগেছে গত ২৫ জুলাই ২০২১ ইং তারিখ থেকে খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত মেহেরপুওে গাংনী উপজেলায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা দরে ৫কেজি আটা বিতরণ (ওএমএস) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি কার্যক্রম সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রণোদনা প্যাকেজ।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে স্বাচ্ছন্দেও সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে উপকার ভোগীরা চাল কিনতে ভীড় করছেন। সরেজমিনে গেলে কথা হয় উপকার ভোগী ভানুয়ারা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, সংসারে একজন উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। খোলা বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেয়া খুবই কষ্টের ব্যাপার।
এখানে সরকারের দেয়া ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে পরিবারের মুখে দু বেলা দুঠো খাবার তুলে দিতে পারছি। এখন আমরা হতাশায় আছি এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে খাব কি? ওএমএস পদ্ধতিতে চাল বিতরণ অব্যাহত রাখার দাবী করেন তিনি।
ধানখোলা গ্রামের দিনমজুর লিয়াকত আলী বলেন, অভাবের সংসারে উপার্জন না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছিলাম। চাউলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে পরিবারের সকলকে রুটি খেয়ে রেখেছিলরাম। পরে সরকারের এই ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে ছেলে মেয়েদের মুখে ভাত তুলে দিতে পারছি। বাজারে চাউলের মুল্য কম না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালু রাখার দাবী করছি। না হলে অনেক পরিবার না খেয়ে থাকবে। সেই সাথে চলমান ওএমএস কার্যক্রমের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন্। এমন ভাবে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাউলের গুণগত মান খুব ভাল বলেও জানান তারা। এমন ভাবেই উপকারভোগীরা তাদের উপকারের বর্ণনা দেন এবং ওএমএস কার্যক্রম চালু রাখার দাবী করেন।
গাংনী হাসপাতাল বাজারের ডিলার প্রতিনিধি রকিব জানান,বর্তমান বাজারে চাউল ক্রয় মানুষের নাগালের বাইরে। গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ৯০০ মানুষ চাউল নিতে আসে। এবং তাদের পরিবারের খাবার যোগায়। উপজেলার বাইরের মানুষও এ সুবিধা নিতে ছুটে আসতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হাজার হাজার পরিবারের দাবী এই কার্যক্রম চলমান রাখার।
চাউল বিতরণ পরিবেশক (ডিলার) বারিউল ইসলাম বলেন, চাউলের গুণগত মান খুবই ভাল। গরিব মানুষদের অন্য যোগান দিচ্ছে সরকার। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের খুবই ভাল মানের চাউল সরবরাহ করে থাকেন এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে সব সময় তদারকি করনে। যাতে সকলেই আগে আসলে আগে পাবেন পদ্ধতিতে চাল নিতে পারেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম বলেন, এখানে প্রতিদিন তিনটি ডিলারের মাধ্যমে হাজার মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন। এটি সরকারর প্রণোদনা প্যাকেজ। যেহেতু এখানে উপজেলার হাজার খানেক মানুষ প্রতিদিন সুবিধা পাচ্ছেন। এ কার্যক্রম চালু রাখার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।