জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাংনীতে লকডাউন এ রাখা করণা পজিটিভ রোগের বাড়িতে বাড়িতে নিয়মিতভাবে ঔষধপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
যাদের সংস্পর্শ এবং আশপাশের এলাকায় যেতে ভয় পাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত ভাবে ঔষধ পৌঁছে দেয়ার ঘাটতি নেই তাদের।
করোনা পজেটিভ রোগীদের বাড়িতে প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের একটি টিম প্রতিটি পজিটিভ রোগের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে করোনা রোগীর চিকিৎসার ওষুধ। নিরাপদ দূরত্ব থেকে বলে দেয়া হচ্ছে ওষুধ সেবনের নিয়ম। নিজের সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছেন রোগীরাও।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের হাত থেকে সাধারণ মানুষ তো মরছেই রেহাই পায়নি চিকিৎসক পুলিশ সাংবাদিকরাও। আস্তে আস্তে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করলেও চিকিৎসকরা আজও রয়েছে মাঠে ময়দানে নিজ কর্মক্ষেত্রে। চিকিৎসকদের এই দায়িত্ববোধ এবং সেবা প্রদানের মহানুভবতা স্মরণে রাখার মত বলে মনে করছেন সুধীমহল। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে করণা পজিটিভ রোগীদের সুস্থ করার জন্য গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একঝাঁক তরুণ চিকিৎসক ও সেবা প্রদানে সোচ্চার রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিয়াজুল আলম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাদিয়া সুলতানা তরুণ চিকিৎসকদের সাথে নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে গাংনী বাসিকে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাদিয়া সুলতানা জানান, গাংনীতে পর্যন্ত চারজন করনা পজেটিভ রোগী রয়েছে। তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাদেরকে নিয়মিত চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারা বর্তমানে খুবই ভালো আছে। তবে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও তিনি আশাবাদী।
ওষুধ প্রদানের সময় স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান, স্বাস্থ সহকারি ও স্যাকমো বৃদ্ধরা উপস্থিত ছিলেন।