দু:সম্পর্কের ভাস্তেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার স্বীকার হয়ে কাউছার আলী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি এখন মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কাউছার আলী গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কড়ইতলা পাড়া এলাকার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জজকোর্টের বাইরে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কাউছার আলী বলেন, সাহারবাটি গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী তাজমিরার সাথে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি গ্রামের হেলালের ছেলে শিপন হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুজন বিয়ের জন্য বাড়ির লোকজনকে জানালে মেয়ের বাবা মা বিয়েতে মেনে নেয়নি।
এক পর্যায়ে শিপন ও তাজমিরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।আর এ ঘটনায় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলের পিতা মাতা ও ছেলেকে আসামি করে অপহরণ মামলা করে। মামলায় ছেলের পিতা মাতাকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে দেন।
এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মামলায় কোর্টে জামিন নিতে আসেন শিপন। এসময় তাজমিরার ভাই সাদ্দাম হোসেন ও সদরুল হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোকজন লোহার রড নিয়ে আদালতের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে।
কৌশলে ভাস্তে শিপনকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করাই শিপনের চাচা কাউছার আলীকে ১০/১৫ মিলে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।