গাছের নারকেল চুরির ঘটনা নিয়ে কিশোর গ্যাঙের ছুরিকাঘাতে তিন কিশোর মারাত্বক জখম হয়েছে।
এরা হলেন, গাংনী উপজেলার গোপালগর গ্রামের চাতরপাড়া এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে রনি (১৪), লালন হোসেনের ছেলে রাব্বী হোসেন (১৫) ও মহাসিন আলীর ছেলে হামীম (১৪)।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সকলেই স্থানীয় লুৎফুন্নেচ্ছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান আহত রনির পেটে, রাব্বী হোসেনের ডান হাতে ও হামীমের ডান পায়ের উপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্বক জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তাদের অবস্থা এখন আশংকাজনক। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
স্থানীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে চুরি করা ডাব নিয়ে গোপালনগর গ্রামের আরজান আলীর ছেলে হাবীব ও জনি হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেনের সাথে আহত রাব্বী ও রনি’র তাদের স্কুলে বাকবিতন্ডা হয়।
এঘটনার জের ধরে রাত ৮ টার দিকে হাবীব ও নাঈম ধারালো ড্যাগার নিয়ে এসে তাদের উপর উপর্যপুরি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে হামীম তাদের ঠেকাতে আসলে তাকেও ড্যাগার দিয়ে আঘাত করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে আসলে আহতদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হাবীব ও নাঈম।
স্থানীয়রা তাদের মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান আহতরা এবং হামলাকারীরা উভয়েই কিশোর গ্যাঙের সদস্য।
তারা একদিনে গজিয়ে ওঠেনি। তারা প্রায়ই ছোট খাটো ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তবে এদের এখনি প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিৎ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাব খাওয়ার মত একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কিশোররা।
খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার সাথে জড়িত ওই কিশোররা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।