মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়ায় ক্ষেতের পানি নিস্কাশন কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে শিশিরপাড়া মাঠপাড়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের বাড়ীর পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, শিশিরপাড়া মাঠপাড়া গ্রামের মোজাহার শেখ’র ছেলে রহিদুল ইসলাম (৫৫) ও রহিদুল ইসলামের ছোট ভাই মহিদুল ইসলাম (৩৮)।
আহত মহিদুল ইসলাম ইসলাম জানান, গত তিনদিন আগে শিশিরপাড়া মধ্যপাড়ার রুহুল আমিনের ছেলে তুহিন (২২) ও তার বড় ভাই রহিদুল ইসলামের মধ্যে মরিচ ক্ষেতের পানি নিস্কাশন নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। তবে সেখানে তাদের সমাধানও হয়েছিল। তবে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তুহিন তার সংঘবদ্ধ দলবল নিয়ে রহিদুল ইসলামের বাড়ীতে হাজির হয়। রহিদুল ইসলাম বাড়ীতে না থাকায় রহিদুলের ছোট ভাই রুবেল বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের করা হবে বলে জানান। এমন সময়ে রহিদুল ইসলাম মাঠ থেকে এসে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা এবং একপর্যায়ে শুরু হয় মারামারি। তুহিন পক্ষের মৃত আজগর আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), ডেমু হোসেনের ছেলে ছাদেক আলী (৩৮), আঃ সোবহানের ছেলে শাহিন (২৮), সুন্নত আলীর ছেলে রুহুল আমিন ((৪৫), ওয়াদুদ আলীর ছেলে মাহাফুজ আলী (২২), সুন্নত আলীর ছেলে রুস্তুম আলী (৫২), সাঈদ আলীর ছেলে শামিম (২২), সুন্নত আলীর ছেলে ইয়ামিন (৩৮) ও আইনদ্দিনের ছেলে সাহারুল ইসলাম (২৮) সহ অন্যান্যরা
এলোপাতাড়ী আঘাত করে রহিদুল ইসলামকে মারাত্মক জখম করে এ সময় রহিদুল ইসলামের ভাই মহিদুল ইসলামও আহত হয়।
স্থানীয়রা মহিদুল ও রহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। তবে রহিদুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ বিষয়ে রুস্তুম আলী জানায়, লোকজন নিয়ে সকালে রহিদুল ইসলামের বাড়ীতে যাওয়া হয়েছিল বিষয়টি জানা ও সমাধানের উদ্দেশ্যে তবে হামলার ঘটনায় আমরা তিন ভাই কেউ জড়িত ছিলাম না। তবে কারা রহিদুল ইসলামকে আঘাত করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি ওই সময় ওখান থেকে সরে গিয়েছিলাম তাই এ বিষয়টি আমি বলতে পারবো না।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, মারামারির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।