মেহেরপুরের গাংনীতে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যবসায়ী সহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে ঐ নির্যাতিতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ধর্ষন মামলার আসামীরা হলেন তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামদেবপুর গ্রামের এলাহি হকের ছেলে মুদিও ব্যবসায়ী সাজাহান আলী ও তার সহযোগি একই গ্রামের কামরুল ইসলাম।
এামলার এজাহারের বাদীর আইনজীবি মো: মোশাররফ হোসেন জানান, ধর্ষিতা ঐ গৃহবধুর স্বামীর বাড়ির কাছে হওয়ার কারনে মামলার আসামী সাজাহান আলীর মুদির দোকানে বিভিন্ন সময়ে মালামাল ক্রয় করতে গেলে কুপ্রস্তাব দেয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঘটনার রাতে তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আনুমানিক রাত ১০ টায় সাজাহান আলী ও কামরুল ইসলাম তার বাড়িতে প্রবেশ করে মুখ বেঁধে বাড়ির পার্শে একটি হলুদ ক্ষেতে নিয়ে মারধর করার পর জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরে নির্যাতিতা বাড়িতে এসে সংসার ভাঙ্গা ও লজ্জার ভয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার স্বামী বাড়িতে আসার পর তার স্ত্রীর চোঁখে ও মুখে আঘাতের চিহৃ দেখতে পেয়ে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর ১লা অক্টোবর বৃহস্পতিবার মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে ঐ নির্যাতিতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক নথিভুক্ত করতে গাংনী থানাকে নির্দেশ দেন। মামলা নং ৮৪/২০২০ইং।
নির্যাতিতার স্বামী জানান, আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে সাজাহান আলী ও কামরুল ইসলাম দুজন তার স্ত্রীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় কুচক্রী মহল ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তার স্ত্রী ও শশুরকে চাপ প্রয়োগ করে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপোশ করছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি অভিযুক্ত দু’জন লম্পটের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস হোসেন জানান, হৈচৈ শব্দ শুনতে পেয়ে তারা কয়েকজন ঘটনাস্থলে পৌছায়। এরপর নির্যাতিতা গৃহবধু আমাদের দেখে কান্নাকাটি শুরু করে। কি হয়েছে জানতে চাইলে সে জানায় সাজাহান ও কামরুল তাকে জোর পূর্বক তুলে এনে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে সাজাহান ও কামরুল পালিয়ে যায়। তাদের পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য উপস্থিত সকলেই দেখতে পেয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাজাহান আলীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।
নির্যাতিতা ঐ গৃহবধুর বাবা জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের কারনে দ’ুজনের নামে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা অর্থিক ভাবে দূর্বল। তাছাড়া মামলা মোকাদ্দমা চালানোর পরিস্থিতি নেই এ কারনে রবিবার আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশনা পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মামলাটি আপোষের কোন সুযোগ নেই।