মেহেরপুরের গাংনীতে ২ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় ভিজিডি কার্ড হারালেন হাসিনা খাতুন নামের এক অন্ধ মহিলা। আর এ অভিযোগে তীর উঠেছে ধানখোলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও জামায়াত নেতা তৌহিদী হাসান নিলুর বিরুদ্ধে।
অন্ধ হাসিনা খাতুন ধানখোলা ইউপির কসবা গ্রামের মামুনুর রশিদের স্ত্রী। অন্ধের ভিজিডি কার্ড কেটে দেওয়ায় এলাকায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউপি সদস্য তৌহিদী হাসান নিলু।
অন্ধ হাসিনা খাতুন জানান, ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ স্যারের সুপারিশে ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান ৩০ কেজি চাউলের একটি ভিজিডি কার্ড করে দেন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে কসবা গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর তৌহিদী হাসান নিলু ২ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ার কারণে আমার ভিজিডি’র কার্ড কেটে দিয়েছেন।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য তৌহিদী হাসান নিলু জানান, আমি অন্ধ হাসিনার কাছে টাকাও চাইনী এ ব্যপারে কিছু জানিওনা।
ধানখোলা ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আজগর জানান, হাসিনা অন্ধ ও গরিব মানুষ তার ভিজিডি’র কার্ড কাটা ঠিক হয়নী। তাছাড়া ইউপি সদস্য তৌহিদী হাসান নিলু স্থানীয় জামায়াত নেতা। বর্তমানে কতিপয় লোকজনের সাথে মিশে আওয়ামীলীগ সাজার চেষ্টা করে।
ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান জানান, ইউপি সদস্য তৌহিদী হাসান নিলু’র ওয়ার্ডের বিষয়। কি ঘটনা ঘটেছে সে ভালো বলতে পারবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী জানান, টাকার জন্য অন্ধ মহিলার কার্ড কেটে দিয়েছে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। অবশ্যই এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
– নিজস্ব প্রতিবেদক