গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তি সহড়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ওই শিক্ষার্থীর পিতা অভিযুক্ত শিক্ষককে শায়েস্তা করতে সাবল হাতে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সাথে সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক আফফান আলী বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যান।
ভিকটিমের বাবা জানান, আমার মেয়ে সহড়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফফান আলীর কাছে প্রাইভটে পড়ে সে। শনিবার (২৫জুন) সকালে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে গেলে সে আদর করার ছলে মেয়েকে যৌণ হয়রানি করেছে।
মেয়ে স্কুল থেকেই প্রচন্ডভাবে আতংকিত হয়ে বাড়িতে এসে কাঁদতে কাঁদতে সব বলে। এ ঘটনার পর আমি সাবল হাতে ওই শিক্ষককে সায়েস্তা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার যাওয়ার আগেই সে স্কুল থেকে সটকে পড়ে। এঘটনায় আমি থানায় মামলা করার সব প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামীকাল রবিবার (২৬ জুন) সকাল বেলাতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
প্রধান শিক্ষক মুঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, ঠান্ডা জ্বরের কারণে আমি ১০/১২ দিন স্কুলে যায়নি। আমি ঠিকমত জানিনাও বিষয়টি। তবে, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসান আমাকে জানতে চেয়েছেন। এব্যাপারে আমি স্কুলে গিয়ে জেনে শুনে তারপর ব্যবস্থা নেবো।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসান জানান, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে প্রথমে বিষয়টি অবহিত করেন। আমি ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে আমার উর্দ্ধতন অফিসারকে জানিয়েছি। তারা ঘটনাটি তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছেন। আজকে ছুটির দিন থাকায় আমি যেতে পারিনি। আগামীকাল রবিবার (২৬ জুন) বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন পাঠাবো। এরপর আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যভস্থা নেবেন।
তবে, স্থানীয়রা জানান, ওই শিক্ষক এর আগেও বেশ কয়েকবার ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেছেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পাইলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা খাতুন অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলে পরে ফোন বন্ধ করে রাখেন। তার মোবাইল ফোন নং সংগ্রহ করতে না পারায় অভিযুক্ত শিক্ষক আফফান আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আফফান আলী সহড়াতলা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।