মেহেরপুরের গাংনীতে সাংবাদিক পরিচয়ে একের পর এক চাঁদাবাজিতে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের মোটর সাইকেল মেকানিক্স জান্নাত আলী নামের এক ভুক্তভোগী। আজ শনিবার গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জান্নাত আলী।
প্রেসক্লাব সভাপতি রমজান আলীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, কিছুদিন আগে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের আনু হকের ছেলে মিনারুল ইসলাম ও একই উপজেলার চরগোয়ালগ্রামের আজাদ আলীর ছেলে রাব্বী হোসেন নামের দুজন আমার দোকানে তাদের মোটরসাইকেল মেরামত করতেন।
মোটরসাইকেল মেরামত বাবদ একহাজার ৭শ টাকা বিল হয়। বিল না দিয়ে বাকী রেখে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলে আসেন। পরে তাদের মোবাইল ফোন ও রাব্বী হোসেনের বাড়ি আমার পাশের গ্রাম হওয়ায় বিল চাওয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হন তারা দুজনই। পরে আমাকে নানা ধরনের হুমকী ধামকী দিতে শুরু করেন। আমার নামে অবৈধ পোর্টাল গাংনীর চোখ, জেটিভিতে মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে তারা।
এক পর্যায় একটা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করে চালান দেয়ারও হুমকি দেয় তারা। এবং মামলা থেকে বাঁচতে হলে এসপি, ডিবি ও গাংনী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবী করে রাব্বী হোসেন। সে আমাকে চরগোয়ালগ্রামের কবরস্থানের কাছে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। আমি আমার বাবা ও দোকানের কয়েকজন কর্মচারী ৭০ হাজার টাকা নিয়ে হাজির হয়ে টাকা প্রদান করি।
ওই দিন রাতেই আমাকে গাংনী থানা পুলিশের এসআই জহির রায়হান একটি অপহরণ মামলার আসামী হিসেবে আটক করেন। যদিও মামলার এজাহারে কোন নাম ছিল না। আমি পঁচিশ দিন জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্তি নিয়ে বাড়িতে এসে রাব্বীর কাছে প্রদানকৃত ৭০ হাজার টাকা ফেরত চাইলেও তিনি টাকা ফেরত দেন নি। বরং আমাকে আবারো পুলিশ দিয়ে হয়রানীর হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
বক্তব্যে জান্নাত আরো জানান, আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি আমার কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রাব্বী হোসেনকে এসপি, ডিবি বা গাংনী থানা পুলিশ কেউ ম্যাসেজ দেয়নি এবং কেউ বলেনি।
তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে আমার কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রতিকার চেয়েছেন সেই সাথে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রশাসনের।
সংবাদ সম্মেলনে গাংনী প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।