জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গাংনীর পৃথক পল্লীতে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে বৃদ্ধ ও নারীসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন।
আহতরা হলেন, গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের হেলাল উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মাবুদ (৪৮), তার স্ত্রী সুমি খাতুন (৪৫), ছেলে শাফিউর রহমান (১৩), আন্টু হোসেন (৪৬) তার স্ত্রী মুসলিমা খাতুন (৪০) ও তাদের চাচাত ভাই মৃতু ইসমাইল হোসেনের ছেলে আকবর আলী (৬৫), এই উপজেলার কাজীপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪৫) তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৪০), করমদী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে মাগরিব আলী (৪৫), গাংনী পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জান্নাতুল নাদীম (২৫), বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃতু শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রুবি খাতুন (৩৪), মৃতু দুলাল হোসেনের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৪০), নুর হকের স্ত্রী ইসমত আরা (৩৫) ও আনিসুর রহমানের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৫০)।
জানা গেছে, পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে ভোমরদহ গ্রামে দু সহোদর ভাই আব্দুল মাবুদ ও আন্টু হোসেনের মধ্যে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে আবুল হোসেন তার স্ত্রী সুমি খাতুন, ছেলে শাফিউর আহত হন।
এছাড়া প্রতিপক্ষ আন্টু হোসেন ও তার স্ত্রী মুসলিমা খাতুন আহত হন। এসময় তাদের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে আহত হন চাচাত ভাই বৃদ্ধ আকবর আলী। এদের মধ্যে আকবর আলী ও আব্দুল মাবুদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে দুপুরের দিকে বিরোধপূর্ণ ৬ কাঠা জমির দখল নিয়ে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে আহত হন বেতবাড়িয়া গ্রামের রুবি খাতুন, আম্বিয়া খাতুন, সাথি খাতুন, রওনক আলী, প্রতিপক্ষ ইসমত আরা ও আফরোজা খাতুন।
আহত ইসমত আরা ও আফরোজা খাতুন জানান, আমার ফুফু শাশুড়ির কাছ থেকে আমরা ৬ কাঠা জমি কিনেছি। আমরা সে জমি দখল নিতে গেলে আমাদের প্রতিপক্ষরা বাঁধা দেন। তারাও জমির মালিকানা দাবী করেছেন।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারা হয়। তিনি জানান আমাদের উপর হামলা করে আমাদের ব্যাপক মারপিট করেছে। আফরোজা ও ইসমোত আরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিপক্ষ রুবি, আম্বিয়া রওনক ও সাথি খাতুনও গাংনী হাসপাতালে ভর্তি হন।