স্ত্রীর নামে জমি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন মারাত্বক আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন,সাবেক মেম্বর রবিউল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম (৩২), ইউনুছ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫), সিরাজুল ইসলামের ছেল মিরাজুল ইসলাম (৩৫)। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, আবুল কাশেম (৫৮), তার ছেলে সেলিম রেজা(৩৫) ও শাকিল হোসেন (২২)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে গাংনী উপজেলার ধর্মচাকি গ্রামের ধর্মচাকি পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে রকিবুল ইসলাম, আব্দুস সালাম ও মিরাজুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসক। বাকি তিন জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সাবেক মেম্বর রবিউল ইসলাম জানান, আমার জামায় আবুল হাসেম অসুস্থ হওয়ায় তার নামের ৬১ শতক জমি স্ত্রী আল্লাদি খাতুনের নামে গত ৩০ মে রেজিষ্ট্রি করে দেই। তার তিনটা মেয়ে আছে। জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার জন্য আমার জামায় আবুল হাসেমের বড় ভাই আবুল কাশেম ও তার দুই ছেলে সেলিম রেজা ও শাকিল হোসেন আমার মেয়েকে মারার জন্য যায়। পরে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আমার ছেলে ও ভাইকে ধারাল অস্ত্র ও রড দিয়ে হামলা চালিয়ে আহত করে।
এদিকে আবুল কাশেম অভিযোগ করেন, আমার ভাই আবুল হাশেম অসুস্থ। তার স্থলে অন্যজন এসে তার স্ত্রীর নামে দলিল জাল করে রেজিষ্ট্রি কনে নেন।
আমরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা কনে। আমাদের তিন জন মারাত্বক আহত হন। এঘটনায় উভয়পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে গাংনী উপজেলার লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আনজিরা খাতুন (৬০) নামের এক বিধবা নারীকে মারধর করেছে প্রতিবেশী রইছদ্দিন।
আহত আনজিরা খাতুন বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই সময়ে এ উপজেলার সীমান্তবর্তী সহড়াতলা গ্রামে সুজন আলীর স্ত্রী মুক্তা খাতুনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এঘটনায় মামলা দিলে উভয়পক্ষের মামলা গ্রহণ করা হবে।