মেহেরপুরের গাংনীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল আলীম (৫০) নামের এক ভ্যান চালককে উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শুক্রবার (২৮এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মোহম্মদপুর গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল আলীম ঐ গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুল গণির ছেলে। নিহতের চাচাকে হামলা কারিদের হাত থেকে বাঁচাতে আব্দুল আলীম খুন হয়েছে বলে দাবী পরিবারের।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিকানা জমি ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। নিহতের অংশ বিক্রি হয়ে গেলেও গতকাল বৃহষ্পতিবার শরিকদের মধ্যে জমি ভাগ হয়। আজ সকালে জমিতে গেলে আগে থেকে প্রস্তুত প্রতিপক্ষ জমির বর্তমান মালিক ও নিহতের চাচা একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে খলিলুর রহমানের ওপর হামলা করলে, নিহত আব্দুল আলিম বাঁধা দিলে তাকে দেশিয় অস্ত্র (ফলা, হাতুড়ি, লোহার রড ও হাসুয়া) দিয়ে উপর্যপুরি কুপিয়ে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এসময় আশপাশের মাঠের লোকজন ছুটে এসে আহত খলিলুর রহমানকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
নিহত আব্দুল আলীমের স্ত্রী মানিয়ারা জানান, আমাদের জমির অংশ অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়েছি। আমার স্বামীর সাথে কারও বিরোধ নেই। আমার চাচা শশুর খলিলুর রহমান আজ আবার নতুন করে জমি ভাগাভাগি করছিল। এসময় আমার আর এক চাচা শশুর আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুর হান্নান, সাহাদত ও বান্টু ও তার ছেলেরা খলিলুর রহমানের ওপর হামলা করে। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে রাগান্বিত হয়ে হামলাকারিরা আমার স্বামীকেই খুন করে পালিয়ে যায়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনের সাথে বিস্তারিত জেনেছি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।