গোপন বৈঠক চলাকালীনন সময়ে গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারীসহ ৩০ নেতা কর্মী আটক হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে জামায়তের দলীয় চাঁদা উত্তোলনের খাতা, লিফলেট ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে ভাটপাড়া গ্রামের চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের এসব নেতা কর্মীকে আটক করেন পুলিশ।
আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে ও সাহারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী সেখ সাদী (৩২), ভাটপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে ও ভাটপাড়া গ্রাম জামায়াতের সভাপতি রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল (৩০), আতিয়ার রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান (৩০), আফিল উদ্দীনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), মৃতু ওয়াছের আলীর ছেলে কাউছার আলী (৫৬), তার ভাই ফাইজার আলী (৫৯), মজির উদ্দীনের ছেলে তৈয়ব আলী (৪০), ইমারুল ইসলামের ছেলে ইউসুব আলী (৩০), সাহাব উদ্দীনের ছেলে রিপন হোসেন (৩২), আবুল হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৫৬), মহির উদ্দীনের ছেলে সেলিম রেজা (২৯), হোসেন আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৮)মকছেদ আলীর ছেলে তোহিদুল ইসলাম (৫৯), ফজল আলীর ছেলে এরশাদ আলী (৪৫), ফজলুর রহমানের ছেলে ইফরান আলী (৪২), মৃতু বছের আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তারের (৭০), মৃতু মকছেদ আলীর ছেলে তাবারক আলী (৪৪), কাবের আলীর ছেলে মখলেছুর রহমান (৩০), আব্দুর রশিদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫০), ফজর আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৬০), বাবলু হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দীন (৩৪), রমজান আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৫০), কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সোহেল রানা (২৬), একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আলহাজ হোসেন (৫০), কুলবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে এরশাদ ওরফে লাল্টু হোসেন (৩৭), নবী বকসের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫৫), আব্দুল ওহাবের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৫০), গনজের আলীর ছেলে ইনারুল ইসলাম (৪০), ভাটপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আকরাম হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আরিফুল ইসলাম (৪০)।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক, উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান, এসআই মাসুদুর রহমান, এসআই পিন্টু ও সংগীয় ফোর্সসহ অভিযান চালানো হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গেপান সংবাদ আসে ভাটপাড়া গ্রামের চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদে বসে জামায়াতের একটি গ্রুপ নাশকতা করার জন্য সরকার বিরোধী বৈঠক করছেন। সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টীম মসজিদটিকে ঘরে ফেলে অভিযান চালিয়ে ৩০ নেতা কর্মীকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে তাদের দলীয় চাঁদা (ইয়ানত) উত্তোলনের খাতা, লিফলেট ও কিছু জিহাদী বই জব্দ করা হয়েছে।
এদেরমধ্যে ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী সেখ সাদির বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলা রয়েছে। এছাড়া জামায়াতের এসব নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।