ভূঁয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাল দলিল প্রস্তুত করে খাস খতিয়ানভূক্ত প্রায় আড়াই বিঘা জমি বিক্রি করতে গিয়ে গ্যাড়াকলে পড়েছেন গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের মোঃ আবুল কাশেম নামের এক ভূমি প্রতারক।
এঘটনায় গাংনী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানার বাদী হয়ে গাংনী ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের জসিম উদ্দীনের ছেলে মো: আবুল কাশেম যার (এনআইডি নম্বর ১৪৬৩১৪৮১৩৮)গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর)প্রায় সাড়ে ৭৬ শতক সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত (অর্পিত সম্পত্তি) জমি মো: আবুল কাশেম নিজের নামে জাল দলিল সৃষ্টি করে বিক্রির জন্য সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আসেন।
বিষয়টি সাবরেজিস্ট্রারের সন্দেহ হলে তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা ভূমি অফিসে খোঁজ নেন।খোঁজ নিলে এই ভূমি জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসে।
দলিল লেখক মোঃ নাসির উদ্দিন (সনদ নম্বর ০২)দলিলটি মুসাবিদা করে দেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ জুন তারিখের মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালযয়ের রেকর্ড রুমের দায়িত্বে থাকা প্রস্তুতকারক, তুলনাকারী, রেকর্ড কিপার, সহকারী কমিশনারের জাল স্বাক্ষরে ৪টি আর এস রেকর্ডের সার্টিফাইড কপি সৃষ্টি করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনারের মালিকানায় না দিয়ে এই খাস জমির মালিক প্রজা কলামে আবুল কাশেমসহ কয়েকজনের নাম ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এই সার্টিফাইড কপির ভীত শক্ত করতে প্রত্যেকটি রেকর্ড এর খাজনা দাখিলা যা অনলাইন বা ডিজিটাল প্রকৃতির এবং মটমূড়া ইউনিয়ন তহশিলদার বদরুন্নাহার স্বাক্ষরিত জমা দেওয়া হয়েছে। পরে এগুলো যাচাই বাছাইয়ে জাল পাওয়া গেছে।
সাবরেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা জালিয়াত চক্রের হোতা আবুল কাশেমের নামে রেজিস্টারিং অফিসারের রেকর্ড ও নামজারির সঠিকতা যাচায়ের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেইজে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।আবুল কাশেমের দাখিল করা কাগজপত্র ও ব্যক্তির পরিচয় যাচাইও সম্ভব হয় না।
পরে দলিল এবং এল টি (ল্যান্ড ট্রান্সফার) নোটিশের সাথে সংযুক্ত জাল রেকর্ড ও জাল দাখিলা সমূহ জব্দ করা হয়েছে। তবে, বিষয়টি বুঝতে পেরে আবুল কাশেম পালিয়ে যায়।
জালিয়াতির ঘটনাটি সাধারণ ডায়েরি ভুক্ত করার জন্য আজ ৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল গাংনী থানায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার মো. মাহফুজ রানা বলেন, “সরকারি খাস জমি বা অর্পিত সম্পত্তি কোন ভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। কেউ জালিয়াতি করে রেকর্ড সৃজন করলে আমাদের কাছে কোন ডাটাবেইজ নেই যে ধরা যাবে। আবার, নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৪২ এ রেজিস্টারিং অফিসারের দায়মুক্তি থাকলেও আমরা সদা সচেতন থাকি।
ঘটনাটি সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় জেলা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগটি জব্দকৃত কাগজপত্র ও দলিল সহ