গাংনী উপজেলার জালসুকা গ্রামে বন্দোবস্তকৃত জমিতে জোরপূর্বক পাকা দালাল তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ১৫ জন গুরুতর জখম হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে জালসুকা বালিপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কয়েক জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহতরা হলেন, জালসুকা বালিপাড়া গ্রামের মৃত নবীছদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহমান (৬২), আজিমদ্দীনের ছেলে মসলেম আলী (৬৫), মসলেমের ছেলে মহসিন আলী (৪৮), শাহজাহান আলী (৪৫), গোলাম হোসেন (৩৭), মসলেমের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৫৫), গোলাম রসুলের স্ত্রী নার্গিস খাতুন (২৮)।
অন্যদিকে জমি দখলকারী মৃত কফিলউদ্দীনের ছেলে আহমেদ আলী (৭০), মনিরুদ্দীনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৫৫), রুহুল আমিন (৩০), আসাদুলের ছেলে রিপন (২৬), আনারুলের স্ত্রী সাগরা খাতুন (৩০), রুহুল আমিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২০)।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ বাড়ির পার্শ্বে মাত্র ৫ পয়েন্ট খাস জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল তাদের মধ্যে। উক্ত জমি আব্দুর রহমান সরকারের নিকট থেকে বন্দোবস্ত নেয়।
তার জমি জমা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ পত্র থাকলেও আহমেদ আলী গ্রামের একটি দালাল চক্রকে ম্যানেজ করে উক্ত জমি দখলে নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় একাধিক রাজমিস্ত্রী নিয়ে জোরপূর্বক পাকাঘর করতে যায়।
আহত মহসিন আলী আরও জানান, গ্রামের আসাদুল, আনারুল ও জহরুলের ইন্ধনে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এসে জমি দখল নিতে চায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, লাঠি, ফলা, হাসুয়া নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে।
আহত গোলাম হোসেন জানান, সংঘর্ষে ভাড়াটে হিসাবে জিনারুল ইসলাম, মিনারুল, আসাদুল, জসীম, আনারুল, জহুরুল, রিপন ও টুকু অংশ নেয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে গুরুতর জখম আসাদুল ও সাগরার অবস্থা গুরুতর হলে তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।