গাংনীতে উপজেলা এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে ঠিাকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠুর বিরুদ্ধে । এসময় উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রকৌশলী।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় মটমুড়া ইউনিয়নের বাওটে একটি সরকারি ভবন নির্মান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে দাবী করেছেন ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু।
সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, গাংনী উপজেলার ,মটমুড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের একতলা ভবন নির্মাণ কাজ পান গাংনীর ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু। যার নির্মাণ ব্যায় প্রায় ৬৫ লক্ষাধিক টাকা। কাজটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১০/১০/২০২১ ইং তারিখে। তখন কাজের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন অন্যজন। উক্ত ভবন নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে।
রবিবার সকালে উক্ত কাজ আমার স্যার উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ আমাকে সাথে নিয়ে কাজ পরিদর্শনে যান। কাজের অনেক ত্রুটি থাকায় আমরা ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে বলি। এতে ঠিাকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু রাগান্বিত হয়ে আমাকে কিলঘুসি মারে এবং আমার শার্টের কলার ধরে টানাহেচড়া করে। আমার স্যার বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তার ওপর চড়াও হন মিঠু। এবং স্যারকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা অফিসে ফিরে আসি। তিনি আরও জানায় এঘটনায় থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ জানান,সরকারি ভাবে আমাদের ওপর নির্দেশনা রয়েছে কোন ত্রুটি থাকা কাজের বিল সংক্রান্ত কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করলে সমস্ত দ্বায়ভার প্রকৌশলীর ওপর পড়বে। সেখানে একটি কাজ বারবার পরিদর্শনে যাওয়া জরুরী। ভবন নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে কাজের অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থাকায় ঠিাকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠুকে বারবার বলা হলে তিনি তা করেনি।
রবিবার সাড়ে ১১টার দিকে সহকারি প্রকৌশলী(সাব এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার) শহিদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সহকারিকে মারধর করে এবং আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঠিকাদার মিঠু। এঘটনায় শহিদুল ইসলামকে বাদী করে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু জানান, আমি প্রতিটি কাজের জন্য ৩% টাকা দিয়ে আসছি প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদকে। আমার বাওট গ্রামে নির্মাণাধীন কাজের জন্য দফায় দফায় তাকে ঘুষ দিতে হযেছে। আবারও তিনি কাজ পরিদর্শনের নামে আমাকে সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলতে বলেন। আমি শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বল্লে তিনি ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে বলেন স্যারকে ১০ হাজার টাকা দিন তাহলে বিল ভাইচারে স্বাক্ষর করবেন। তা না হলে আপনাকে বিভিন্ন অযুহাতে বিল পরিশোধ করতে ঝামেলায় পড়তে হবে। তিনি আরও বলেন আমার কাজ ৮ মাস আগে নির্মাণকাজ শেষ করে বসে আছি। অনেক দায় দেনা করে কাজ শেষ করেও অফিস টাকা দিচ্ছেনা। পাওয়া দারদের টাকাও পরিশোধ করতে পারছিনা। এই নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে । লাঞ্চিত করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি।
গাংনী থানার অফিসার ইনজার্চ(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এমন একঠি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।