দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এস এম তানভির আহমেদকে লাঞ্চিত করেছেন এইচ এম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক দেলোয়ার হোসেন মিঠু।
আজ সোমবার দুপুরে গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন মিঠু গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ রয়েছে মিঠুর মালিকানাধীন এইচ এম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটির কোন সরকারি অনুমোদন নেই।
এঘটনার পর ওই চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের একটি কপি মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। ঘটনার পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ হাসপাতালে মোতায়েন ছিল।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এস এম তানভীর আহমেদ হাসপাতালে বহি:বিভাগের ১০৯ নং রুমে রোগীর সেবা প্রদান করছিলেন। সেবা প্রদান কালীন সময়ে এইচ এম ভায়াগনস্টিক সেন্টারের দেলােয়ার হােসেন মিঠুসহ তার ৫ থেকে ৬ জন দালাল বাহিনি নিয়ে অনুমতি বিহীন জোর করে রুমে প্রবেশ করেন। কোন কারণ ছাড়াই অনেক রোগীর সামনে সরকারী কাগজ ছিড়ে ফেলে অপমান, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন। পওে বের হয়ে আসার সময় খুন, গুম করার হুমকি দেন। এবং মোবাইল ফোন দিয়ে ভডিও ও ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও কিছু মিডিয়াতে অপপ্রচার করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এইচ এম ডায়াগনষ্টিক সেন্টার অনিবন্ধিত। ওই প্রতিষ্ঠানটির কিছু সংখ্যক দালাল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সহ বিভিন্ন বিভাগে প্রায় প্রতিদিনই সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটায় যা গত কয়েক মাসের হাসপাতাল সিসি ফুটেজ ক্যামেরায় সংগৃহিত রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন মিঠু বলেন, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক হিসেবে নয় হাসপাতালে গিয়েছিলাম নাগরিক হিসেবে। একজন ভিক্ষুককে চিকিৎসক তানভির অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছেন তার প্রতিবাদ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশকে জানালে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা এ ধরণের আচরণ করতে পারেন না। আগামিকাল এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
গাংনীতে প্রতিবন্ধীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সাতদিনেই ৪ গুণ দাম বৃদ্ধি