মেহেরপুরের গাংনীতে পৃথক গ্রামে দুই যুবকের আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃস্পতিবার দিবাগত মধ্যেরাতে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে লিখন হোসেন (১৮) ও শুক্রবার দুপুরে সাহারবাটি গ্রামের আশিকুর রহমান (১৭) নামের দুই যুবক আত্মহত্যা করেছে।
লিখন হোসেন গাংনী পৌর এলাকার ভিটাপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। আশিকুর রহমার আশিক গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের তারেক হোসেনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিখনের বাবা কয়েক বছর যাবত অসুস্থ। বাবা রবিউল চিকিৎসা নিয়ে তার মাকে সাথে করে ঢাকা থেকে বৃস্পতিবার মধ্যেরাতে বাড়ি পৌঁছান।
বাড়ি পৌঁছানোর পর নিজ ঘরের আড়ার সাথে ছেলে লিখনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীরা এসে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। লিখনের বাবা ও মা বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে যখন বাড়ি ফিরছিলেন।
তখন লিখন তার মায়ের সাথে মোবাইলফোনে কথাও বলেছিলেন। রাত তিনটার দিকে তার মা-বাবা বাড়ি ফিরে দেখে ঘরের আড়ার সাথে ছেলের মরদেহ ঝুলছে। প্রেম সংক্রান্ত কারণে লিখন অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয়দের ধারনা।
অপরদিকে সাহারবাটি গ্রামের যুবক আশিকুর জুম্মার নামাজ আদায়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় তার মায়ের সাথে অভিমান করে নামাজ আদায় করতে না গিয়ে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করে।
অনেক সময় তার খোঁজ না পেয়ে আশিকের মা ঘরে প্রবেশ করে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
আত্নহত্যার ঘটনায় নিহত দুই যুবকের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতম। গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান,বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পর প্রকৃত কারন কারণ বলা সম্ভব হবে।