মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের চেংগাড়া গ্রামে ঘরের আড়ার সাথে নাসিমা খাতুন (১৫) নামের এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনো নিশ্চিত নয়।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বামীর ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নাসিমার মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। নববধূ নাসিমা খাতুন চেংগাড়া গ্রামের সাকিল হোসেনের স্ত্রী। নববধুর লাশ উদ্ধারের পর থেকে স্বামী শাকিল আত্মগোপনে রয়েছে।
নাসিমা খাতুনের মা বিলকিছ খাতুন জানান, কয়েক মাস আগে আমার মেয়ে নাসিমার বিয়ে দিই একই গ্রামের শাকিলের সাথে। আমার মেয়ে বয়সে খুবই ছোট। সে সংসারের সব কাজ করতে পারে না। বিয়ের পর থেকে আমার জামাতা প্রায়ই যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে পারিনি। এ কারণে সে আমার মেয়েকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। তার দাবি পূরণ করতে পারিনি বলে আমার মেয়েকে আগে লাঠি দিয়ে মেরেছে পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজের দোষ আড়াল করার জন্য লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।