নিখোজের একমাস পর প্রেমিকার বাড়ির পরিত্যাক্ত কুয়ার মধ্যে থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীয় গভীর কুয়া থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের বাগান পাড়ায়। নিহত লাল্টু গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের শাহিন উদ্দিনের ছেলে।
নিহত লাল্টুর ভাই পল্টু মিয়া বলেন, তার ভাই ইটের খোয়া ভাঙ্গার কাজ করতে এসে সাবিনার সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সাবিনা একদিন আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার ভাইকে বিয়ে করার জন্য হুমকি দেয় তখন আমরা তাদের সর্ম্পকের বিষয়ে জানতে পারি। গত সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে আমার ভাই লাল্টু বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোজ করে কোন সন্ধান না পেয়ে গাংনী থানায় একটি জিডি করি।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইটের খোয়া ভাঙ্গা শ্রমিক লাল্টুর সাথে হাড়াভাঙ্গা বাগানপাড়ার সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাবিনা খাতুনের পরকিয়া সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একমাস আগে লাল্টু নিখোজ হলে তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খুজে না পেয়ে গাংনী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার রাতে কথিত প্রেমিকা সাবিনাকে পুলিশ হেফাজতে নিলে সে লাল্টুর মরদেহ সর্ম্পকে তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি আজ প্রেমিকা সাবিনার বাড়ির পরিত্যাক্ত কুয়ার মধ্যে থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মিদের সহযোগীতায় লাল্টুর অর্ধগলিত মরদেহ ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। অর্ধ গলিত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।’