মেহেরপুরের গাংনীর রাইপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সড়কের ইট, পাথর ও পীচ উঠে যাওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী। কোন কোন রাস্তার মাঝে খানাখন্দ। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় প্রতিনিয়ত। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা থাকলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা যখন উদাসীন ঠিক সেই মুহুর্তে নিজ উদ্যোগে সড়ক মেরামতের কাজ হাতে নিয়েছেন শিক্ষক হাফিজুর রহমান মোকলেছ। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নিজ ইউনিয়নের প্রধান সড়কসহ চারটি সড়কে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে এলাকার মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের রাইপুর মাঠের মধ্যে হঠাত গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া রাইপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের সড়কের দুপাশ ভেঙ্গে ও গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরদের জানানোর পরও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি সংস্কারের। জনদুর্ভোগের কথা ভেবে তিনি নিজ উদ্যোগেই সংস্কার কাজে হাত দেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি জনসেবার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে প্রশংসা করেছেন এলঅকাবাসি।
রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মঙ্গল জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরদেরকে রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানানো হলেও কেউ কোন উদ্যোগ নেন নি। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি উদ্যোগে যে সংস্কার কাজে হাত দিয়েছেন তাতে সাধুবাদ জানাই। কৃষক আতিয়ার জানান, দীর্ঘদিন যাবত এলাকার জনগন দুর্ভোগে থাকলেও জনপ্রতিনিধিরা কোন উদ্যোগ নেয়নি রাস্তাটি সংস্কার করার। বিশেষ করে চাষিরা মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারে না। মকলেছ মাস্টার রাস্তা সংস্কার করায় সকলেই বেশ উপকার পাচ্ছেন এবং পাবেন। একই কথা জানালেন কৃষক আব্দুল মোতালেব।
হাফিজুর রহমান মোকলেছ জানান, বেশ কিছুদিন যাবত শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি রাস্তায় চলাচলে ও মাঠের ফসল ঘরে তুলতে কষ্ট পাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিরা কেউ এগিয়ে না আসায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা খরচ হবে তা নিজেই বহন করবেন।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানান, একজন শিক্ষক হয়ে উনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি নিঃসন্দেহে মহতি উদ্যোগ। সকলেরই এমন উদ্যোগ গ্রহন করা উচিৎ।