পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির তত্বাবধানে ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে কীটনাশকমুক্ত সাক সবজি মানুষের মাঝে ন্যায্যমুল্যে ক্রয় বিক্রয় করনের লক্ষ্যে মেহেরপুরের গাংনীতে নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে চালু করা হয়েছে।
আজ (২০ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় গাংনী হাসপাতাল বাজারে নিরাপদ সাক সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলা কুষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন , পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মহাম্মদ মোশারফ হোসেনসহ বাজারের ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের অবাধ ব্যাবহারে নিরাপদ সবজি পাওয়া মুশকিল। মেহেরপুরের মানুৃষ যাতে কীটনাশক ও রোগমুক্ত সাক সবজি পেতে পারে এজন্যই নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রটি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন অতিথিবৃন্দরা বিক্রয় কেন্দ্রে লাউ, কুচা, পুইশাক, আলু, বেগুন, করলা, ঝিঙ্গা, পটল, কলা, মুলা, বরবটি, টমেটো, চিচিংঙ্গা, সিম, কুমড়া, ফুলকপি ও বাধাকপি, সশা, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার মুক্ত সবজি কিনতে এসে ক্রেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উদ্বোধন কালে বক্তারা বলেন, বর্তমানে উচ্চ মাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক বালাইনাশক ও সার ব্যবহার করে উৎপাদিত শাক-সবজি খাওয়ার কারণে মানবদেহে চর্মরোগ, প্রতিবন্ধিতা, বন্ধাত্ব, ক্যান্সার, হৃদরোগ, খিঁচুনি , উচ্চ রক্তচাপসহ আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোন কোন বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশের প্রভাবে শরীরে বেশি দিন থাকে যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে লিভার,কিডনি, রক্ত ও চার্বিতে জমা হয়। ফলে নানা ধরণের রোগ দেখা দেয়। নিরাপদ সবজি যে সকল শাক-সবজি মানুষের শরীরের জন্য নিরাপদ, রোগ-জিবাণু ও বিষমুক্ত। প্রতিদিন আমরা যেসব শাক সবজি খাচ্ছি তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ? শাক-সবজি চাষে জৈব সার, সবুজ সার , খামারজাত সার বেশি পরিমানে ব্যবহার করা। রাসায়নিক বালাইনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ও পোকা দমনের জন্য সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, রঙ্গিন আঠালো ফাঁদ ও বিষটোপ ব্যবহার সাক সবজি উৎপাদন করতে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করণ ও ক্রেতাদের নিােপদ সবজি কেনা বেচার নির্দিষ্ট স্থানের বড়ই অভাব। এসব কথা ভেবেই মানুষকে শাক সবজি খাওয়া উচিৎ। শাক-সবজিতে বালাইনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু তা প্রয়োগের পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বিষাক্ত উপাদানের প্রভাব কমে যায়। তখন সবজি গ্রহন অনেকটা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়।