গাংনী পৌরসভার পশু হাসাপাতাল সম্মুখে পৌর নিয়মকানুন না মেনে বহুতল বিশিষ্টি ভবন নির্মাণ করায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌর সভা থেকে বারবার তাগিদ দিলেও নিয়ম মানতে নারাজ ভবন মালিক। বড় ধরনের দুর্ঘটনার দায় এড়াতে নির্মান কাজ বন্ধ দাবী পৌর কর্তৃপক্ষের।
জানাগেছে, গাংনী পৌর সভার পশু হাসপাতালের পার্শে এবং মহিলা কলেজ রোড সম্মুখে ৬ শতক জমির ওপর চার তলা ভবন নির্মান কাজে শুরু করেন স্থানীয় আবদুল গনির ছেলে সামসুজ্জামান এবং ওয়াহিদুজ্জামান। উক্ত জমি পৈত্রিক সুত্রে মালিক সামসুজ্জামান এবং ওয়াহিদজ্জামান ভবনের কাজ শুরু করেন ৩ বছর আগে।
ভবন নির্মাণ বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের দুষ্টি পড়লে তাদেরকে ভবন নির্মানের অনুমোতি সহ সকল নিয়মকানুন মেনে নির্মাণ কাজ শরু করার নির্দেশ দেন। জমির মালিকদ্বয় সে নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়। দফায় দফায় কাজ চালু করে ৩ তলা ভবনের কাজ শেষ করেন। আজ শুক্রবার ছিল চার তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। উপরের দিকে ছাঁদের অংশে ভেঙ্গে পড়ার আশংকা করেন স্থানীয়রা।
এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম পৌর সভার সকল কাউন্সিলর বৃন্দদের সাথে নিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় অনুমোতির বিষয়য়ে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি ভবনের মালিক সামসুজ্জামান।
সামসুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অনুমোদনের জন্য টাকা জমা দিয়েছি। টাকা জমার রশিদ এখন খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
এদিকে ভবনের ছাদ ঢালাই কাজ বন্ধের জন্য প্রতিবেশি মহব্বত আলী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন।
মহব্বত আলীর অভিযোগে জানা গেছে, ভবনের নিচের অংশ সামসুজ্জামানের নিজের জমিতে থাকলেও উপরের অংশ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মহব্বতের ভবনের ক্ষতি হতে পারে।
এ বিষয়ে সামসুজ্জামানের ছোট ভাই বাচ্চু জানায়, সকল নিয়মকানুন মেনেই ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। তাদের ৬ শতক জমির পাশ দিয়েই ৪ ফিট রাস্তা রাখা হয়েছে। কিন্তু মহব্বত আলী সে এক ইঞ্চি জমি রাস্তার জন্য ফেলে রাখেনি।
তিনি আরো বলেন, তিন বছর আগে অনুমোতি না নিয়ে যখন ভবনের পোতা খোড়ার কাজ করা হচ্ছিল তখন পৌর মেয়র কেনো বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন? এমন অনেক ভবনই গাংনীতে নিয়মনীতির তেদায়াক্কা না করেই হয়েছে।
পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রথম থেকেই তাদের নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু তারা পৌর আইন না মেনে ভবনের কাজ চালিয়ে আসছেন। তাই নিয়মনীতি মানতে সকল নাগরিক বাধ্য একারনেই চার তলার ছাদ ঢালাই কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পৌর সভার প্রোকৌশলী বিষয়টি দেখবেন তার পর অনুমোদন সাপেক্ষে ভবনের কাজ পুররাই শুরু করবেন। তাছাড়া ভবন নির্মানের ত্রুটির কারনে দুর্ঘটনা ঘটলে পৌর কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেনা তাই এই কাজ বন্ধ করা হয়েছে।