বিরোধপূর্ণ জমির পাট কাটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, ষোলটাকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের শিমুলতলা গ্রামের সাবেক মেম্বর সিদ্দিকুর রহমান (৬০), তার ছেলে বকুল হোসেন (৩৫), মৃতু মুনছুর আলীর ছেলে মিলন হোসেন (৩৪) ও আতিয়ার রহমান(৩৮)।
অপরপক্ষের আহতরা হলেন, তফেল উদ্দীনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৮), ইয়ামিন হোসেন (৩২), আব্দুস সালাম (৪০)।
আজ সোমবার (১ আগষ্ট) সকাল ৭ টার সময় গাংনী উপজেলার কামারখালি মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত সিদ্দিকুর রহমান জানান,কামারখালি মৌজার ১৫৭ খতিয়ানে ২ একর ৪০ শতক জমির মধ্যে ৮৩ শতক জমি শিমুলতলা গ্রামের মাধব মন্ডলের ওয়ারিশগণ পাবেন। অপরপক্ষে ওই জমির মধ্যে ১৩ শতক জমি আব্দুর রাজ্জাক ও তার ওয়ারিশ পাবেন। সেই জমিতে উভয়পক্ষই পাট চাষ করেছে। আজ সকালে আব্দুর রাজ্জাক ও তাদের লোকজন সাইদুলের নেতৃত্বে ইয়ামিন আলী সালাম, আশিক, হাসেম পাট কাটতে যায়। আমরা তাদের বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি শোঠা দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
অপরপক্ষে আব্দুর রাজ্জাক জানান, কামারখালি মৌজাতে ১৫৭ খতিয়ানের ১২৬৮ দাগে ১.৮৯ একর জমি। এছাড়া ১৫৮ খতিয়ানের ১২৬৮ দাগে ৩.১১ একর জমির মোট ৫ একর জমির মধ্যে নালিশী জমি ৮৩ শতক। ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন তহশীল অফিস (ভূমি অফিস) বসে সেই জমি আমাদের পাওনা হয়েছে। আমাদের সেই পৈত্রিক সম্পত্তিতে পাটের চাষ করেছি। আজ সকালে পাট কাটতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা করে আমাদের লোকজনকে আহত করে।
আহতদের গাংনী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় উভয়পক্ষই মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গাংনী হাসপাতালে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিবা রানী বলেন, আহতদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠি শোঠার মারের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।