মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে প্রবাসির নববধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে।
গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তার বাবার বাড়ি এলাঙ্গী গ্রামে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। সে ঐ গ্রামের আহম্মেদ আলির মেয়ে ও গাংনী শহরের থানা রোডের বাসিন্দা কবিরের স্ত্রী পাপিয়ারা খাতুন পাপিয়া (১৯)। নিহত পাপিয়া দশম শ্রেনীর ছাত্রী বলে তার পরিবার জানায়।
পরিবারের লোকজন জানান, প্রায় চার মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। মেয়ের স্বামী ১৫ দিন আগে সিঙ্গাপুর গিয়েছে। গত চার দিন আগে পাপিয়ারা খাতুন শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসে। গত শনিবার সে তার স্বামী কবিরকে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে কিন্তু তার স্বামী ফোন রিসিভ না করে বারবার কেটে দেয়। গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ফোনে তার স্বামীর অবজ্ঞা করার কারণে পাপিয়ারা খাতুন আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন নিহতের মা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, আপাতত অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপর দিকে, মেহরপুরের গাংনী উপজেলার সাহাবাটি গ্রামে এক বৃদ্ধা গলায় দড়ি দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে।
আত্মহত্যাকারি বৃদ্ধা ফজিলা খাতুন (৭০) ঐ গ্রামের ক্লাব পাড়ার রেজাউলের স্ত্রী। নিহতের পরিবার জানান, দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন অনেক চিকিৎসা করেও কোন প্রতিকার হয়নি।
এর আগেও সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল পরিবারের লোকজন সে দফায় তাকে রক্ষা করতে পারলেও এবার সকলের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে রবিবার ভোরের দিকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গাংনী প্রতিনিধি