মেহেরপুরের গাংনী বাজারে কতিপয় আড়তদারদের কারসাজিতে পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। সাথে অন্যান্য সকল সবজির দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ছিল ১শ’৬০ থেকে ১শ’৮০ টাকা একদিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ২শ’২০ টাকা।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে এক ব্যবসায়ী বলেন পাইকারি আড়তদাররা আমাদের এই দামে বিক্রয় করতে বলেছে তবে পেঁয়াজ ক্রয়ের রশীদ চাইতে গেলে তারা রশীদ না দিয়ে তাদের নির্ধারিত দামে বিক্রয় করতে বাধ্য করেছে। ঐ ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের বলেন, রশীদ চাইতে গেলে পাইকারি ব্যবসায়ী সাজেদুল ইসলাম সাফ জানিয়ে দিয়েছে রশীদ ছাড়া পেঁয়াজ নিলে নাও না হলে নিওনা।
পরে বাধ্য হয়েই রশীদ ছাড়াই পেঁয়াজ নিতে বাধ্য হয়েছে সেই ব্যবসায়ী। এছাড়াও কাঁচা ঝালের দাম গত সপ্তাহের চাইতে কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বেড়ে দাড়িয়েছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা।
এদিকে শীতের নতুন সবজিরও দাম পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আলু যেটা পুরাতন তার গত সপ্তাহের চাইতে প্রতি কেজি ৫টাকা হারে দাম বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে আলুর দাম ছিল কেজি প্রতি ২৫ টাকা এ সপ্তাহে বেড়ে দাড়িয়েছে ৩০টাকা কেজি। এদিকে নতুন আলুর দাম প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে ১শ’ টাকা করে।
বেগুনের দামও কেজি প্রতি ১০টাকা করে বেড়েছে। গত সপ্তাহে বেগুনের কেজি ছিল ৩০ টাকা কেজি। শীতের অন্যতম সবজি ফুল কপি গতসপ্তাহে কেজি প্রতি দাম ছিল ৩০ টাকা যা এক সপ্তাহের ব্যাবধানে এর দাম বেড়ে দাড়িয়েছে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
এছাড়াও শীত কালীন প্রতিটি সবজির দাম বেড়েই চলেছে। এদিকে প্রায় প্রতিদিনই সবজির দাম বেড়ে যাওয়াতে মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন পড়েছে বিপাকে। সবজির হাটে ঢুকেই ক্রেতারা দাম শুনে নাভিশ্বাস অবস্থা দাড়িয়েছে।
ক্রেতারা তাদের নির্ধারিত বাজেটে কোন কিছুই ক্রয় করতে পারছেন না। একজন ক্রেতা জানান, শীতের মৌসুমে শীতের সবজির দাম যদি লাগাম ছাড়া হয় তাহলে মানুষ চলবে কিভাবে।
সবজি বিক্রেতা মন্টু জানান, শীতের শুরুতে সবজি ওঠা শুরু করেছে। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদানি হলেই সকল সবজির দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, সকল সবজির বিষয়ে আমরা তদারকি করব। বিশেষ করে পেঁয়াজের মূল্যর বিষয়টি যদি কারও কারসাজি থাকে সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাজার মূল্যের এ লাগামছাড়া দামের বিষয়ে গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, গতকাল যুবলীগের কাউন্সিলের কারণে ঢাকায় এসেছি। হাতেগোনা চারজন পাইকারি ব্যবসায়ী অসৎ উপায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা মাল মজুদ করে প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য পেঁয়াজ বাজার জাত করে কৌশলে দাম বাড়িয়েছে।
এম এ খালেক বলেন ঢাকা থেকে ফিরে আবারও বাজার মনিটরিং এ নেমে পেঁয়াজ ও অন্যান্য সবজি সহনীয় পর্যায়ে আনার চেষ্টা করব।
-এ সিদ্দিকী শাহীন, গাংনী