বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭৫০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় হিসাবধারী প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী” এর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রকাশ্যে বিনিয়োগ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী উপজেলার সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনায় লিড ব্যাংক আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির আয়োজনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বামুন্দী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ হাসান ওয়ায়েজ আল সাগরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং একে এম আমজাদ হোসেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এর যুগ্ম-পরিচালক ঝুমা রানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক তানিয়া ভূঁইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা জোনাল অফিস সৈয়দ মনিরুল আলম, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, এই লোনটা সবাই পাক। সবার কাছে যাক এতে করে সবাই আর্থিক ভাবে ভালো থাকবেন। সকলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে এই লোনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
সভাপতি একেএম আমজাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই পুনর্বাসন স্কিম টাকে ৫০০ কোটি টাকা থেকে ৭৫০ কোটি টাকা করেছে।
অনেকে ব্যবসায় লস খেয়ে পুজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাদেরকে ধরে রাখতেই এই পুনর্বাসন স্কিম করা। আমরা যে সকল ব্যাংক এর সাথে যুক্ত আছি তারা যদি এই ৭৫০ কোটি টাকার সঠিক ভাবে বিতরণ করতে পারি তাহলে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ হবে।
এই স্কিমটা একটি আবর্তনশীল স্কিম। আমরা সক্ষম হলে পরবর্তীতে এই স্কিম ১০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
প্রধান অতিথি ঝুমা রানী বলেন, ২০১৪ সালে ২০০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে এই স্কিম প্রথম শুরু হয়।
পরবর্তীতে এর চাহিদা বাড়ায় বর্তমানে এর ফান্ড ৭৫০ কোটি টাকায় উন্নিত হয়। আমাদের প্রায় ৫০ ক্যাটাগরির পেশাজীবি আছে। তারা এই সুবিধা নিতে পারবে।
এর বাইরেও স্টুডেন্ট রা ১০০ টাকার একটা একাউন্ট খুলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতে পারবে। বই কেনা, উপবৃত্তি সহ অন্যান্য সুবিধা নিতে পারবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, এই স্কিমটাবিশষ করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের জন্য করা। তারা যেন তাদের কৃষিকাজ সঠিকভাবে করতে পারে। অর্থের অভাবে যেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে না যায়।
এজন্যই এই পুনর্বাসন স্কিম করা হয়েছে। বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন ধরনের ফসল, সবজি এবং ফলের চাষ হয়। এই সকল চাষীরা এখান থেকে লোন নিয়ে তাদের কাজ করতে পারবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ও তাদের বিনিয়োগ গ্রহীতারা।