গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে প্রকাশ্যে বোমা বিষ্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাজারে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাহারবাটি গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম টুটুল। সোমবার বিকেলে সাহারবাটি ক্লাবপাড়া মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রাকিবুল ইসলাম টুটুল তার বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সাহারবাটি গ্রামে প্রকাশ্যে বোমা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে টুটুল পক্ষের ২৬ জনকে আসামী করা হয়। মামলার সকল আসামী বর্তমানে জামিনে রয়েছে। মামলাটি তদন্ত যাতে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । বোমাহামলার স্পট চারচারা বাজারে স্থাপিত সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করার দাবীও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করায় প্রতিপক্ষরা ঈশর্^ান্বিত হয়ে নানা অপবাদ ছড়ানো ছাড়াও মিথ্যা মামলা করছেন আমিসহ আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
তাছাড়া ২০২০ সালে হামলা ও ভাংচুর চালায় গ্রামের আমানুরসহ অন্যান্যরা। এঘটনায় একটি মামলাও করা হয়। ওই মামলায় ৮ জনকে আসামী করা হয়। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা বিভাগের উপর তদন্তভার রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকেই তাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবী করেন রাকিবুল ইসলাম টুটুল। তিনি আরো জানান, আমার তরুণ কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য একজন মক্ষèী রানীকে ভাড়া করে মিথ্যা কথা বলানোর চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা। সে বিষয়ে গাংনী থানার তৎকলীণ অফিসার ইনচার্জ( ওসি) ওবাইদুর রহমান তাদের থানায় নিয়ে আসেন। পরে তদন্তকরে ওই সকল তরুন যুবকদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। সেখানেও মিথ্যার পরাজয় হয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রীক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।