অবশেষে মা হলেন আলোচিত প্রতিবন্ধী রোকেয়া খাতুন। এক নরপশুর লালসার শিকার হয়ে গর্ভবতী হলেও স্ত্রীর স্বীকৃতি পাইনি মানসিক ওই প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী হয়ে ভালমন্দ কিছু না বুঝলেও মাতৃত্বের স্বাদে চরম আনন্দ করছেন তিনি।
গতকাল রবিবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ফুট ফুটে কন্যা সন্তানের মা হতে পেরে ঘাড় নাড়িয়ে আনন্দের কথা জানাচ্ছেন উপস্থিত সকলকে।
জানাগেছে, গাংনী উপজেলার হিন্দা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত নিফাজ উদ্দীনের প্রতিবন্ধী কন্যা রোকেয়া খাতুন। পিতার অবর্তমানে বড় ভাইয়ের কাছে জীবন যাবন করতেন। একই গ্রামের খবির উদ্দীন নামের এক লম্পট প্রতিবেশী সুযোগ বুঝে প্রতিবন্ধী রোকেয়াকে জোর করে ধর্ষন করে। ধর্ষনের কথা কাউকে বল্লে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এক পর্যায়ে প্রকৃতির নিয়মে প্রতিবন্ধী রোকেয়া গর্ভবতী হয়ে পড়ে। শারীরিক গঠন দিনদিন পরিবর্তন লক্ষ্য করে স্থানীয়দের মধ্যে শুরু হয় নানা গুঞ্জন।
অবশেষে রোকেয়ার ভাই ও ভাবী সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হলে সামাজিক শালিশের মাধ্যমে রোকেয়া খবির উদ্দীনের নাম প্রকাশ করেন। খবির উদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয় এবং রোকেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় হয়। বিয়ের প্রস্তাবে খবির কোন ভাবেই রাজি না হলে রোকেয়ার ভাবী রিকাতন বাদী হয়ে গত ১০/১০/২০১৯ সালে গাংনী থানায় একটি ধর্ষন মামালা করেন। মামলা নং ১০।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহম্মদ আলী রেজা খবির উদ্দীনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। খবির উদ্দীন বর্তমানে জেল হাজতেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহম্মদ আলী রেজা।
সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় প্রতিবন্ধী রোকেয়া খাতুন প্রসব যন্ত্রনায় ছটফট করলে তাকে শনিবার রাতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ও প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করেন। গতকাল রবিবার ভোর রাতে তার কোল জুড়ে ভুমিষ্ট হয় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। সন্তানের মুখ দেখে আনন্দে আত্মহারা প্রতিবন্ধী রোকেয়া।
এদিকে রোকেয়ার সন্তান হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা মা ও মেয়েকে দেখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় জমায়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইসএ ডা: রিয়াজুল আলম বলেন, রোকেয়ার সাভাবিক প্রসব হয়েছে। মা মেয়ে দুজনেই সুস্থ্য আছেন। রোকেয়ার নবজাতক মা খুঁজে পেলেও বাবা হয়নি কেউ।
মেপ্র/আরপি