মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে নানা হৈচৈ। অসামাজিক কার্যকলাপ করার অপরাধে গ্রামে বসানো হয়েছে গ্রাম্য সালিশ। বিচারের জন্য পরকীয়া জুটিকে তলব করা হয় গ্রাম্য সালিশে।
অভিযুক্তরা সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গ্রহণ করা হয় গণস্বাক্ষর। মঙ্গলবার বিকেলে মহিষাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মাতব্বর সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি উন্মুক্ত গ্রাম্য শালিস বসানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মহিষাখোলা স্কুল পাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে গ্রামের আনারুলের ছেলে মুদি দোকানি হানিফের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সোমবার গভীর রাতে হানিফ প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে আসলে ঢোকার সময় প্রবাসী সিরাজুলের ছোট ভাই কালামসহ অন্য ভাইয়েরা দেখে ফেলে এবং হানিফকে ধরে মারধর করে। এসময় ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের টানা হেচড়ায় পালিয়ে যায় হানিফ।
এবিষয়ে প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জানায়, হানিফের সাথে আমি ১হাজার টাকা পেতাম, ওই রাতে দোকান বন্ধ করে টাকা দিতে এসেছিলো। আমি যখন উঠানে দাড়িয়ে টাকা নিচ্ছিলাম তখন আমার দেবর ও ভাসুর এসে হানিফের জামার কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং মারধর করে। তার সাথে আমার খারাপ কোন সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে মিথ্যা কলংক দিচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে হানিফ পলাতক রয়েছে। হানিফের মা জানায় এক সপ্তাহ আগে হানিফের বউ তার মায়ের বাড়ি বেড়াতে গেছে। আমার ছেলের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে গ্রামের লোকজন। তাছাড়া তখন ছেড়ে দিয়ে গ্রামের সবাই মিটিং করছে অপমান ও মারধর করার জন্য। আমার ছেলে অপরাধ করলে আইন আছে, আদালত আছে সেখানে বিচার করুক।
শালিশে নেতৃত্ব দানকারী মাতব্বর সাজেদুল ইসলাম জানান, ওই মহিলা বিভিন্ন পুরুষের সাথে এমন নোংরামি করে সমাজের ভাবমুর্তি ক্ষুন্য করছে। আমরা তাদের দুজনের বিচারের জন্য গ্রামের সবাই বসেছিলাম। তাদের ডেকেও উপস্থিত হয়নি। সকলে গণস্বাক্ষর দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেব। যাতে এদের দেখে অন্যরা শিক্ষা নেয়।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানায়, এমন ঘটনায় কেউ থানায় এসে পুলিশি সহায়তা চাইনি। চাইলে তখন দেখা যাবে।