গাংনী পৌরসভার মাটি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। এমন অপতৎপরতা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নড়েচড়ে বসতে হবে বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ জনগণ। গাংনী পৌরসভাসহ উপজেলা ব্যাপী অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে। আবাদি জমি দিন দিন কমতে শুরু করেছে।
বিভিন্ন ইউনিয়ান ভূমি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাটি ব্যবসায়ীদের ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধের কথা থাকলেও কোন কাজ হচ্ছে না। পরের ফসলি জমির মাটি লুট বন্ধে কোন নমূনা নেই। গাংনী উপজেলায় প্রায় শতাধিক ইট ভাটা রয়েছে। গত নভেস্বর মাস থেকে এসব ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ শুরু হয়। এতে প্রতিটি ভাটায় প্রয়োজন মাটি।
এসুযোগে বাঁশবাড়ীয়া, জুগীন্দা, চিৎলা, নিত্যান্দপুর, পাকুড়িয়া টেপাপাংয়াশিং, বাহাগুন্দা আযানসহ প্রায় ৩০ স্থানে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে ফসলি জমির মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। আর জমির মালিকরা না বুঝেই তা ইট ভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন।
চিৎলা গ্রামের সাবেক মেম্বর শফিউর রহমান জানান মাঠে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে, সাথে আবাদের পরিবেশ বিভিন্ন ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেই তাহলে কৃষি খাতে ক্ষতি হবে।
১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রহিদুল ইসলাম জানান আমি নিজে যত্রতত্র মাটি কাটার জন্য মোবাইল ফোনে গাংনী উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তারা আমাকে লিখিত অভিযোগ করতে বলে।
৮নং ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন জুগীন্দা গ্রামের একটি অপরিকল্পিত পুকুরের কারণে শত শত বিঘা জমি পানিবন্দী হয়ে আবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
গাংনী পৌরসভার মেয়র আহাম্মেদ আলী বলেন পৌরসভা সীমানার ভিতরের পুকুর খনন করে পৌর নাগরিকদের কোন অসুবিদা করা যাবে না। পুকুর খনন করতে হলে পৌরসভা থেকে অনুমতি নিতে হবে। তানা হলে পৌর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।