মাদ্রাসায় যাবার পথে চার বখাটের বেলুনের পানি নিক্ষেপের করে নারী শিক্ষার্থীদের উত্যক্তকরার ঘটনায় কেউ নালিশ নেয়নি।
উপজেলা প্রশাসন বলছে পুলিশের কাছে যেতে আর পুলিশ বলছে এটা প্রশাসনের দ্বায়। অবশেষে কোন সমাধান হয়নি ওই বখাটেদের। বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদড়ি আর মানস্মানের ভয়ে মাদ্রাসার চার নারী শিক্ষার্থী রয়েছেন এক রকম গৃহবন্ধী। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চলছে আতংক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নারী শিক্ষার্থীদের একজন অভিভাবক জানান, বামন্দী মাদ্রাসায় তাদের মেয়েরা পড়াশোনা করে। বেশ কিছুদিন যাবত বামন্দী পশ্চিমপাড়ার আশরাফুল ইসলামের ছেলে আকাশ, আব্দুস সালামের ছেলে শিমুল ও আফিরুল ইসলামের ছেলে রাজন বেলুনে পানি ভর্তি করে মেয়েদের গায়ে ছুড়ে মারে ও ভিডিও ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরী করে।
গত কয়েকদিন আগে তারা টিকটক ভিডিওটি তাদের ফেসবুকে ছাড়লে মেয়েগুলো তাদের পরিবারকে জানায়। এ নিয়ে ওই বখাটের পরিবারের সাখে বাক বিতণ্ডারও ঘটনা ঘটে।
এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন দিতে আসলে তিনি গাংনী থানাকে জানাতে বলেন। পরে গাংনী থানার ওসি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এখতিয়ার বলে অভিহিত করে তাদের বিদায় করেন। পরে স্থানীয় ভাবে বসেও বখাটেদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় কোন সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় চলছে চাপা উত্তেজনা।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ জানাতে বলা হয়েছে সেই সাথে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানাতেও বলা হয়েছে। পরে কি হয়েছে তা জানা নেই।