বাল্য বিয়ে বন্ধের অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ফেলে পালিয়েছে বরযাত্রি। অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেয়ার অপরাধে কণের পিতাকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিয়ে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম। রোববার রাত ১০ টার সময় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষèীনারায়ন পুর ধালা গ্রামে মুখরোচক এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইদিস আলীর ছেলে নয়ন হোসেন (১৬) এর সাথে লক্ষèী নারাায়ন পুর ধলা গ্রামের সাইকেল মিস্ত্রি রাজুর সপ্তম শ্রেনীরে পড়ুয়া শিশু কণ্যা আজমিরা খাতুন(১৪) বিয়ের আয়োাজন চলছিল। বর ও বরযাত্রিতে বিয়ে বাড়ি সরগরম। রান্না বান্নার কাজও শেষ। এমন সময় গাড়ির শব্দ। শব্দ শুনেই বর ফেলে পালিয়ে যাায় বরযাত্রি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম ও পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কণের পিতা রাজুকে বাল্য বিবাাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় ২০০০ টাকা জরিমানা করেনএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট । এবং উভয় পরিবারকে বিয়ে না দেয়ার জন্য সতর্ক করা হয়। বর নয়নকে বিয়ে না করার শর্তে ছেড়ে দেয়া হয়।
এসময় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আতিয়াার জানান, রাজুর মেয়ে আজমিরাা খাতুনের বিয়ে হচ্ছিল । ্সময় ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে বরযাত্রি পালিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় মুখরোচক হয়ে উঠেছে।
কাথুলী ইউপি’র মহিলা সদস্য মোছাঃ সুফিয়া খাতুন বলেন, সরকারি নিষেধ অমান্য করে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের বাবার জরিমানা করেছে। এসময় বর ফেলে পালিয়ে গেছে বরযাত্রি। বিষয়টি এলাকায় একটি আলোচিত ঘটনা বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম বলেন, সমরকারি আইন অমান্য করে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কণের পিতার জরিমানা করা হয়েছে এবং বিয়ে না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।