মেহেরপুরের গাংনীতে সপ্তম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রিকে বিয়ে করার অপরাধে বর ও কনের পিতার (জামাই শশুর) জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তাদের জেল জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানায়, সাহারবাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে হেলাল উদ্দীন (৩২) চতুর্থ বারের মত বিয়ে করতে যান মহম্মদপুর গ্রামের মানিক নগর পাড়ার সোহরাব আলীর মেয়ে ও মহম্মদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী জাহানার খাতুনকে।
গভীর রাতে বিয়ে হচ্ছে মর্মে সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে বর হেলাল উদ্দীন ও কনের পিতা সোহরাব হোসেনকে আটক করা হয়। আটক শশুর জামাই দুজনকেই সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বরের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ জানান, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্য বিয়ে বন্ধে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। আমার ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের একটি সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে চতুর্থ বার বিয়ে করতে এসেছে একটি ছেলে এমন বিষয় জানতে পারার পর স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগীতা করি এবং আইনের হাতে সোপর্দ করি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৭ এর ১ ধারায় বরের জেল জরিমানা ও ৮ ধারা অনুযায়ী কণের পিতার জেল প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সমাজের যে কোনো জায়গায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।