২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির ৬২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা নাশকতা মামলার ৬২ জন আসামি বেখসুর খালাস পেয়েছেন।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মামলার সকল আসামি আদালতে হাজির হয়ে মিথ্যা মামলা থেকে খালাসের আবেদন করলে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা জজ মো: নূহ নবী তাদেও বেখসুর খালাসের রায় দেন।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, গাংনী পৌর যুবদলরে সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গাংনী টেকনিকেল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ও সাবেক ইউপি মেম্বর হাবিবুর রহমান হাবিব, ধানখোলা ইফুরংর যুবদলের সম্পাদক আলামিন হোসেন, কাজিপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা জহুরুল ইসলাম, শরীফুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তৎকালিন গাংনী থানা পুলিশ সরকার বিরোধী নাশকতার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং এসটিসি ৩৫,৩৬/২০১৮ ইং।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ডেমি নির্বাচনের পূর্বে গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে বিএনপি নেতা কর্মীরা নাশকতা ঘটানোর উদ্যেশ্যে জড়ো হয়ে সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক করছে এমন কাল্পনিক অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলাটি দেই গাংনী থানা পুলিশ।
মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পরে আজ সোমবার দুপুরে নির্ধারিত দিনে মামলার সকল আসামি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে পুলিশ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে গত ১৭ বছরে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিলে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে এসব মামলায় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীকে রিমান্ডের নামে করা হয়েছে অমানবিক নির্যাতন।
তিনি বলেন, পুলিশের দায়ের করা বাকী মিথ্যা মামলাগুলো থেকেও দ্রত খালাস পাবেন এ প্রত্যাশা বিএনপি নেতাদের।